আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের গণসংযোগ ও সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার হয়েছে। তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায়ে নেতাকর্মীরা দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে ভোটারদের আস্থা অর্জনে কাজ করছেন।
বগুড়া বিএনপির সহসভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মহিত তালুকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল এবং বগুড়া অ্যাডভোকেটস বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান মুক্তা, তাদের মধ্যে মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক প্রার্থী এরই মধ্যে মাঠে সক্রিয়।
অন্যদিকে বিএনপির দুর্গে ভাগ বসাতে মরিয়া জামায়াত ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দুপচাঁচিয়া উপজেলা জামায়াতের যুব বিষয়ক সম্পাদক ও গুনাহার ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আবু তাহের। তিনি নির্বাচিত হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য মডেল মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দুপচাঁচিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা এবং আদমদীঘি উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই আসনে প্রার্থীরা পোস্টার, ব্যানার, শুভেচ্ছা বার্তা, কর্মী সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান এবং হাট-বাজারে চা-চক্রে অংশ নিয়ে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
অ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু জানান, তিনি এলাকার উন্নয়নের জন্য দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছেন এবং নির্বাচিত হলে উন্নয়ন অব্যাহত রাখবেন। আব্দুল মহিত তালুকদার বলেন, তার বাবা ও ভাই এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন, নির্বাচিত হলে তাদের অসমাপ্ত কাজ শেষ করবেন। আতাউর রহমান খান মুক্তা প্রতিশ্রুতি দেন, এলাকার মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।
স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, গত ১৬ বছরে তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি। এবার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ নিয়ে তারা আশাবাদী। নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি বলে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দেওয়ায় প্রার্থী নিয়ে এলাকায় এখন চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
যেখানে বিএনপি ও জামায়াতের তৎপরতা চোখে পড়ছে, সেখানে জাতীয় নাগরিক পার্টি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের তেমন কোনো তৎপরতা দৃশ্যমান নয়।
আপনার মতামত লিখুন :