চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি ‘অযৌক্তিক’

চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল ৪০ শতাংশ বৃদ্ধিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বন্দর একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। কোনো আলোচনা বা যৌক্তিক ব্যাখ্যা ছাড়াই মাশুল বাড়ানো গ্রহণযোগ্য নয়। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের প্রয়োজন কী এটাই প্রশ্ন।’

গতকাল রোববার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘লজিস্টিক খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইউসুফ, সভাপতিত্ব করেন ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস-এর সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ। দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়াতে বিদেশি অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তাঁর মতে, এর মাধ্যমে স্থানীয় জনবল আধুনিক প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানের ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল ৪০ শতাংশ বৃদ্ধিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বন্দর একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। কোনো আলোচনা বা যৌক্তিক ব্যাখ্যা ছাড়াই মাশুল বাড়ানো গ্রহণযোগ্য নয়। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের প্রয়োজন কীÑ এটাই প্রশ্ন।’ তিনি অবকাঠামোগত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বে-টার্মিনাল দ্রুত চালু করতে হবে। একই সঙ্গে মোংলা ও পায়রা বন্দরের সক্ষমতা পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার করতে পারলে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।

এ সময় তিনি গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট নিরসন, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, রপ্তানি বাড়াতে এসব ক্ষেত্রেও দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। সেমিনারে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা লজিস্টিক খাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।