খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি এইচ এম প্রফুল্লকে হত্যাচেষ্টাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাভাবে হেনস্তার অভিযোগে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ১২০ জনের নামে মামলা হয়েছে। আদালত খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি আমলি আদালতের বিচারক তারেক আজিজ রায়হানের আদালতে এইচ এম প্রফুল্ল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার দে, মাইন উদ্দিন ভুটো, নুরুল ইসলাম, এম এফ রাব্বি, মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, রহিম মিয়া নাঈম ওরফে আরেফিন নাঈমসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ আরও ১২০ জন অজ্ঞাত আসামি ও একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আদালতে বাদীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট ও খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আফছার হোসেন রনি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট দুপুরে খাগড়াছড়িতে ছাত্র-জনতার হামলার সংবাদ সংগ্রহের সময় সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। বাংলাভিশনের খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি এইচ এম প্রফুল্লসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।
৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল আওয়ামী লীগের শাসনামলের নানা সন্ত্রাস, দুর্নীতি-অনিয়মের সংবাদ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও তার সহযোগীরা একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাংবাদিক এইচ এম প্রফুল্ল, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া ও খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে মানহানিকর পোস্ট দিয়ে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন