রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আজ পরিবেশ অধিদপ্তর একযোগে একাধিক মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধনের দায়ে ৩৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৭ ধারা অনুযায়ী মোট ৪১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হয়।
ঢাকার রামপুরা ব্রিজ এলাকায় ১০টি ডিজেলচালিত বাস ও ট্রাকের ধোঁয়া নির্গমনমাত্রা স্মোক অপাসিটি মিটার দ্বারা পরিমাপ করা হয়। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৫টি মামলা দায়ের করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিক আহমেদ। প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা গবেষণাগারের জুনিয়র কেমিস্ট মো. মাহবুর রহমান। এসময় পুলিশ বাহিনী ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে মোহাম্মদপুর এলাকায় নির্মাণসামগ্রী দ্বারা সৃষ্ট বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযান চালানো হয়। বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২২ এর বিধি ১১(ঙ) লঙ্ঘনের দায়ে ২টি মামলায় মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার কুমার পাল। প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন সহকারী প্রকৌশলী খন্দকার গৌরব মুস্তাফা।
একই দিনে ঢাকায় বিআরটিএর সহযোগিতায় যৌথ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এতে ৩১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায়, ১০টি মামলা দায়ের এবং একটি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়। এ কোর্ট পরিচালনা করেন বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের আড্ডা, কামদাল, বারপাড়া ও বন্দর এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের বিশেষ টিম অভিযান চালায়। সিনিয়র সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাসের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সহকারী পরিচালক মো. মোবারক হোসেন প্রসিকিউশনের দায়িত্ব পালন করেন। দূষণকারী প্রতিষ্ঠান ইয়াং ইউয়ান কোং লিমিটেড এর বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকা জরিমানা, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং এইচটি ক্যাবল জব্দ করা হয়। পাশাপাশি পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর না করা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা না করার শর্তে মুচলেকা প্রদান করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বায়ুদূষণ রোধে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন