বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০৮:০১ এএম

অনিশ্চয়তা কাটিয়ে  ৯ সেপ্টেম্বরই ভোট

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০৮:০১ এএম

ডাকসু

ডাকসু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে সব ধোঁয়াশা কাটিয়ে ৯ সেপ্টেম্বরই হচ্ছে কাক্সিক্ষত ভোট। নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। 

এদিকে, নির্বাচনে ভিপি পদের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার। চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকায় তার নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।

ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ বেঞ্চ গতকাল বুধবার এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। 

জিএস পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। ডাকসু নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাম জোট মনোনীত প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সেই রিটের শুনানি শেষে গত সোমবার দুপুরে বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে রুল জারি করেন। রুলে ডাকসুর গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকায় জিএস পদে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। 

এদিকে ডাকসু নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। এই কর্মকর্তা বলেন, ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ও ভোট গ্রহণের সময় নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা সংশয় কাজ করছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে ভোটকেন্দ্রে বুথের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। 

ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, প্রতি ভোটারের জন্য আট মিনিট করে সময় রাখা হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার ভোটার ভোট দিতে আসবেন, তা ধরেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোটের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ ভোটকেন্দ্রের আঙিনায় উপস্থিত হন, তাদেরও ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। 

ডাকসু নির্বাচনে আর কোনো বাধা নেই জানিয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, এক প্রার্থীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের শুনানি হয়েছে। রায় অনুযায়ী ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন চালিয়ে যেতে আর কোনো বাধা নেই। একই সঙ্গে কোনো শিক্ষার্থী বা প্রার্থীর বিরুদ্ধে নারী প্রার্থীদের সাইবার বুলিং করার অভিযোগ পেলে সাইবার বুলিং টাস্কফোর্সের আওতায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।

এরই মধ্যে, ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় তার নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। গতকাল বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটটি কার্যতালিকাভুক্ত ছিল, তবে গতকাল শুনানি হয়নি। ডাকসু নির্বাচনে মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার ভিপি পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। চূড়ান্ত তালিকায় ভিপি প্রার্থী হিসেবে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ছিল। তার ব্যালট নম্বর ছিল ২৬। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের হাউজ টিউটর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ দেন। পরে অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালে শুনানি হয়। কিন্তু নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনাল তার প্রার্থিতার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠায়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর বাদ দেয়।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!