ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যেই নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করে বিভিন্ন প্যানেল। জনপ্রিয়তা পেতে সবার ইশতেহারেই রয়েছে নানা আশ্বাস। নির্বাচনে জনপ্রিয়তা নিয়ে ‘বাংলাদেশ পাবলিক একাডেমি’ ও ভলান্টিয়ার সংস্থা ‘বেসরকারি’ আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থীদের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। সেই জরিপে অংশ নিয়েছেন ২৪০ জন ভোটার। জরিপে ছাত্রদল মনোনীত ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৬ শতাংশ ভোট। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) আব্দুল কাদের পেয়েছেন ১৮ শতাংশ ভোট। তিনি রয়েছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। স্বতন্ত্র হিসেবে লড়াই করা উমামা ফাতেমা ১২ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মো. আবু সাদিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন।
এদিকে, ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর। গতকাল রোববার রাত ১০টায় শেষ হয়েছে সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা। শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে নিজেদের প্রতিশ্রুতি আর কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। তবে সুষ্ঠু ভোট এবং সম্ভাব্য ষড়যন্ত্র নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে এখনো উদ্বেগ দেখা গেছে। নারী ভোটারদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিয়েও কেউ কেউ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে গতকাল ছুটির দিন হওয়ায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম ছিল, তাই হলকেন্দ্রিক প্রচারণাই বেশি দেখা গেছে। ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান হাজী মুহম্মদ মহসিন হলে তার প্রচারণা শুরু করেন। তিনি সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারী হেনস্তা রোধে বিশেষ সেল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ডাকসু নির্বাচনে কমিশন ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘অপেশাদার আচরণ’ ও ‘একটি দলের প্রতি’ পক্ষপাতের অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমন অভিযোগ করেন তিনি। কোনো ছাত্রসংগঠনের নাম না নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করেছি, সেটা একেবারে নির্বাচনের শুরু থেকে; আমরা প্রথমত বলেছিলাম, নির্বাচন কমিশনের অপেশাদারমূলক আচরণ এবং তারা একটা দলকে অনেক বেশি সুবিধা দিচ্ছে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন