সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০২:৩৫ এএম

ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণা শেষ, ফলাফলের অপেক্ষা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ০২:৩৫ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভবন। ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভবন। ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রচারণার মেয়াদ ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় শেষ হয়েছে। ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া প্রচারণা ১৩ দিন ধরে চলেছে, যেখানে অংশগ্রহণকারী সব প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাঠে ছিলেন।

প্রচারণার শুরু থেকে বিভিন্ন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘন, ভোটারদের খাওয়ানো, আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠলেও নির্বাচন কমিশন তৎপর হয়েছে, কিন্তু বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রচারণা ছিল উৎসবমুখর, ভোটাররা প্রার্থীদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেছেন, ক্যাম্পাসজুড়ে ভোট নিয়ে আলোচনা জমে ছিল।

ভোটার ও প্রার্থী

নির্বাচন হবে ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত, যেখানে ৩৯,৮৭৪ জন ভোটার ভোট দেবেন। ভোটগ্রহণ আটটি কেন্দ্রে হবে, যেখানে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এবার ডাকসুতে ২৮টি পদে ৪৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। হল সংসদে ২৩৪টি পদে ১,০৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী। প্যানেল সংখ্যা অন্তত ১০টি, সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও লড়াই করছেন। উল্লেখযোগ্য প্যানেলগুলো হলো জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ (বাম ছাত্র সংগঠন), ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’, ছাত্রশিবির, ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ ইত্যাদি।

জুলাই অভ্যুত্থান পর ক্যাম্পাসে নতুন বাস্তবতায় তরুণ নেতৃত্ব ও নতুন প্যানেলগুলো সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। ছাত্রদলসহ বিভিন্ন প্যানেল প্রার্থী বাছাইয়ে নতুন নেতৃত্বকে প্রাধান্য দিয়েছে।

নির্বাচনী আবহ ও প্রশাসনের ভূমিকা

নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ভোটের দিন যাতে নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ হয়, সেজন্য প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। ভোট কারচুপির আশঙ্কা কমাতে সতর্কতা রয়েছে।

প্রচারের শেষ দিন

শেষ দিনে বিভিন্ন প্যানেল ও প্রার্থীরা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, সুফিয়া হল, মধুর ক্যান্টিন, বটতলা ও অন্যান্য এলাকায় শেষ প্রচারণা চালিয়েছে। বাগছাস ও প্রতিরোধ পর্ষদ প্যানেল তাদের অভিযোগ জানিয়েছে প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। অন্যদিকে ছাত্রশিবিরও প্রশাসনের পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে।

শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

নির্বাচনে অনেক শিক্ষার্থী প্রথমবার ভোট দিচ্ছেন, তারা সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের আশা করছেন। নির্বাচিতরা যেন নির্বাচনী ইশতেহার মেনে চলে, সেই প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন।

Link copied!