পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৬০৫টি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। চলতি বছর এই সংখ্যা রেকর্ড করেছে প্রদেশের পুলিশ। জিও নিউজের খবর।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব হামলায় অন্তত ১৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক এবং ৭৯ জন পুলিশ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫২ জন। এরমধ্যে প্রদেশটির বান্নু জেলায় সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুধু আগস্ট মাসেই ১২৯ বার সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়ায়। এতে ১৭ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৫১। এ ছাড়া এই হামলায় নিহত হয়েছেন ১৩ জন পুলিশ সদস্য, আহত হয়েছেন ৪৬। আগস্টের এসব হামলার ঘটনায় ৩৫১ জন অভিযুক্তের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩২ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছেন পাঁচজন।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কর্মকর্তাদের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার বিস্ফোরণটি বাজৌর জেলার খার তহসিলের কাওসার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ঘটে। বাজৌর জেলার পুলিশ অফিসার ওয়াকাস রফিক ডনকে জানান, হামলাটি টার্গেট করে চালানো হয়েছে। একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ব্যবহার করে এ হামলা চালানো হয়।
বিস্ফোরণে একজন পুরুষ নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন, যাদের মধ্য শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা একটি পুলিশ স্টেশনে আরেকটি হামলা চালিয়েছিল, তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাজাউর জেলায় একটি ক্রিকেট ম্যাচ চলার সময় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। শনিবারের (৬ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাজাউর জেলা পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াকাস রফিক খার তহসিলের কাউসার ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেছেন, বিস্ফোরণটি একটি ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ডিভাইসের (আইডি) মাধ্যমে করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন