আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক ইস্যুতে চলছে নানা আলোচনা। ত্রয়োদশ নির্বাচন কবে ও কীভাবে হবেÑ কোন দল পরবর্তী সরকার গঠন করবে কিংবা কারা হবে প্রধান বিরোধী দল, এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের পর জাতীয় পার্টি (জাপা) নিষিদ্ধের জোর দাবি ওঠে। বিগত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে পতিত সরকারের কর্মকা-কে বৈধতা দিয়েছিল দলটি। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই দলটির নেতাদের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবি জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় মারাত্মক আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিলসহ জাতীয় পার্টির অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এমন প্রেক্ষাপটে দলটি নিষিদ্ধের দাবি আরও জোরালো হয়েছে। তবে দেশের অন্যতম বৃহৎ দল বিএনপি মনে করে, জাপা নিষিদ্ধ নয় বরং দলটির নেতাদের অপরাধের বিচার হোক। এ ছাড়াও জাপা নিষিদ্ধের নেপথ্যে রাজনীতির কি সমীকরণ কাজ করছে তা নিয়েও রয়েছে নানা বিশ্লেষণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাপা নিষিদ্ধ হলে লাভবান হবে ছোট রাজনৈতিক দলগুলো, প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হবে জনপ্রিয়তার বিচারে চতুর্থ বা পঞ্চম স্থানের দলগুলো। তবে, আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং সংসদে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন জাতীয় পার্টির নেতারা। এদিকে আগামী নির্বাচনে জাপাকে বিরোধী দল বানানো বা আগামীতে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করে গণঅধিকার পরিষদসহ ইসলামী দলগুলো।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এনসিপি সরাসরি নিষিদ্ধের দাবিই করেছে। গণঅধিকার পরিষদ জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবিতে মাঠেই আছে। তবে বিএনপি সরাসরি নিষিদ্ধ না চেয়ে বিচারের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে।
সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের এক সমাবেশে ৩০ দলের নেতারা জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি জানায়। সমাবেশে থেকে দাবি উঠে, জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষক আওয়ামী লীগের গুম-খুন, অবৈধ নির্বাচনের বৈধতা দেওয়া রাজনৈতিক দল। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। এদিকে বিএনপি বলছে, বিচারের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির যে শাস্তি হয় সেটি হতে হবে। তবে, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের মতো বেশকিছু দল জাপার সরাসরি কর্যক্রম নিষিদ্ধের পক্ষে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ এখনো সেই অর্থে নিষিদ্ধ হয়নি। দলটির বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করা হলেও, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তবুও সন্ত্রাস দমন আইনে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় দলটি আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না, তা স্পষ্ট করেছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে দলটির প্রতীক নৌকাও ‘স্থগিত’ আছে। এমন অবস্থায় জাতীয় পার্টির কার্যক্রমও যদি একইভাবে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হয়, তাহলে তাদেরও একই অবস্থা হবে। সেক্ষেত্রে সরাসরি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে সুযোগ পাবে জামায়াতে ইসলামি বা ছোট দলগুলোর সম্মিলিত জোট।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবির পেছনে বড় ধরনের রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ রয়েছে। জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ হলে জামায়াত আসন্ন নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হবে সেটি স্পটত বলাই যায়। যা জামায়াতের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটতে পারে। তবে জাতীয় পার্টি যদি নিষিদ্ধ না হয়, তাহলে জামায়াতের প্রধান বিরোধী দল হওয়ার সম্ভাবনা চ্যলেঞ্জিং হবে বলে মনে করেন তারা। পাশাপাশি নির্বাচন ইস্যুতে শক্তি প্রদর্শনে ছোট কিছু দলের জন্যও জাপা নিষিদ্ধ হওয়া সুবিধাজনক। এ ছাড়া যেকোনো ইস্যু ধরে জামায়াত এবং এনসিপি যদি নির্বাচন বর্জন করে, তাহলে বিএনপির জন্য তা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এ ছাড়াও জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ না হলে জামায়াত ও এনসিপিসহ আর কিছু দল বিএনপিকে চাপে ফেলতে পারবে না। এমন কিছু বিষয় আলোচনায় রয়েছে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর থেকেই।
বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাস থেকে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ৩০ দশমিক ৮১, আওয়ামী লীগ ৩০ দশমিক ৮, জামায়াত ১২ দশমিক ১৩ ও জাতীয় পার্টি ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ ভোট পায়। এ ছাড়াও ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ, বিএনপি ৩৩ দশমিক ৬১ শতাংশ, জাতীয় পার্টি ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং জামায়াত ৮ দশমিক ৬১ ভোট লাভ করে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ৪০ দশমিক ৯৭ শতাংশ, আওয়ামী লীগ ৪০ দশমিক ১৩ শতাংশ, ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে জাতীয় পার্টি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং জামায়াত ৪ দশমিক ২৮ শতাংশ ভোট লাভ করে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ, বিএনপি ৩২ শতাংশ, জাতীয় পার্টি ৭ শতাংশ এবং জামায়াত ৪ শতাংশ ভোট পায়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপিসহ অধিকাংশ দলই বর্জন করে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৭২ দশমিক ১৪ এবং জাতীয় পার্টি ৭ শতাংশ ভোট লাভ করে। কয়েকটি নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ ছাড়া তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে জামায়াত ও জাতীয় পার্টি। ফলে জাপা নিষিদ্ধ হলে এক অর্থে তা জামায়াতেরই লাভ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাম্প্রতি সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) তরুণদের মধ্যে পরিচালিত এক জনমত জরিপে দেখা যায়, ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ মতামত পেয়ে বিএনপি শীর্ষে রয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষে মত দিয়েছেন ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে।
আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অংশ নেওয়া ও না নেওয়ায় ভোট এবং রাজনীতির মাঠে কেমন প্রভাব পড়তে পারে এবং কারা লাভবান হবেন এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, অভ্যুত্থানের এক বছর পর এসে জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবির পেছনে প্রধানত জামায়াত ও এনসিপির রাজনীতি আছে। জামায়াত মনে করছে তারা আগামী নির্বাচনে ৭০ থেকে ৮০টি সিট পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হতে পারবে। এমনটা হলে তা হবে তাদের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন। কিন্তু জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিতে পারলে সেটা হয়তো আর হবে না। কারণ, অনেক আওয়ামী লীগ নেতা আছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তারা তখন জাতীয় পার্টির প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তা হলে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হয়ে যেতে পারে।
জাপা নিষিদ্ধের আলোচনার মধ্যে সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বক্তব্যে বলেন, বিএনপি বহুদলীয় রাজনীতিতে বিশ্বাসী। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা কোনো সমাধান নয়। এ রকম হলে ভবিষ্যতের রাজনীতিতে চরম বিরূপ প্রভাব পড়বে। কোনো দলের নেতারা যদি অপরাধ করে তাদের কর্মের জন্য শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। দল নিষিদ্ধ নয়।
জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় পার্টি আওয়ামী স্বেচ্ছাতন্ত্রের অন্যতম সহযোগী ছিল। শেখ হাসিনার আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে তারা রক্ষা করেছিল। ১৬ বছর জনগণের লক্ষ কোটি টাকা পাচারের সুবিধাও তারাই করে দিয়েছিল। ফলে যারা ফ্যাসিবাদকে সমর্থন ও ফ্যাসিবাদের বয়ানে সুর মিলিয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত।
এ বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ফ্যাসিবাদকে যারা শক্তি যুগিয়েছে সেই জাতীয় পার্টির বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নেই। জুলাই আন্দোলনে দুই হাজার শহীদ ও ত্রিশ হাজার আহতদের প্রতি ওয়াদা দেশের রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদের দোসরদের জায়গা হবে না।
জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আমরা প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছি। আগামী নির্বাচনে জাপার অংশ নেওয়া বা তাদের বিরোধী দল বানানোর কোনো সুযোগ নেই। জাপাকে আগামীতে বিরোধী দল বানাতে একটি মহল এবং ভারতীয় এজেন্টরা তৎপর। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আগামীতে সরকার গঠন করবে কোন দল, কে হবে বিরোধীদল তা সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ।
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন জানান, আমরা চাই জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ হোক। কারণ, তারা আওয়ামী লীগের গণহত্যার দোসর। আওয়ামী লীগের অবৈধ নির্বাচনের বৈধতা দিয়েছে জাপা। তাদের মাধ্যমে আবার আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। আমাদের এই দাবির সঙ্গে কোনো রাজনীতি বা ভোটের সম্পর্ক নেই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলী আশরাফ আকন বলেন, জুলাই গণঅভুত্থানের পর থেকে আমাদের চাওয়া ইন্ডিয়ার দোসরমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। একই সঙ্গে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সহযোগী জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
জাপার কার্যক্রম নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে এ বিষয়ে দলটির একাংশের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, অতীতে জাতীয় পার্টির সব কার্যক্রম গঠনতন্ত্র মোতাবেক হয়েছে। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে আয়োজনের একটি ষড়যন্ত্র চলছে। তবে জাতীয় পার্টি ছাড়া আগামী সংসদ নির্বাচন হবে না। অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোট মানেই জাতীয় পার্টি থাকবে। স্বচ্ছ ভোট মানে জাতীয় পার্টি থাকবে। সামনের সংসদে জাতীয় পার্টি থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মব নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সরকার মাজার রক্ষা করতে পারে না; একটা রাজনৈতিক পার্টির অফিসে আগুন দেওয়া হয়, সেটিও রক্ষা করতে পারে না। সেখান থেকে মনে হয়, সরকার নির্বাচনের জন্য এখনো প্রস্তুত নয়।
জাতীয় পার্টির একাংশের মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আগেও অনেকবার জাতীয় পার্টিকে নিয়ে নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হয়েছে। তবে দেশের জনগণের ভালোবাসা-সমর্থন এবং এরশাদপ্রেমিক তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। জাতীয় পার্টি এখনো স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। কোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের যাত্রাকে রুখতে পারবে না।
জাপা নিষিদ্ধের যৌক্তিকতা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্লেষকরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের অপকর্মের সহযোগী হিসেবে তাদেরও কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দরকার। একই সঙ্গে দলের যেসব নেতারা সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন তাদের গ্রেপ্তার করাও প্রয়োজন। তবে প্রশ্ন জন্ম দেয়Ñ সব দলকে নিষিদ্ধ করলে নির্বাচন কাকে নিয়ে হবে। সেক্ষেত্রে, জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ না করে তাদের ভাগ্য নির্ধারণের দায়িত্ব জনগণের হাতে ছেড়ে দেওয়াই যৌক্তিক হবে। জনগণ যদি ভোট না দেয় তাহলে তাদের শাস্তি তারা পেয়ে যাবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন