মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসকে তারেক রহমান

আমাদের বিশ্বাস, বিএনপি একাই সরকার গঠন করবে

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

আমাদের বিশ্বাস, বিএনপি একাই সরকার গঠন করবে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগির দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার প্রকাশিত ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া প্রথম সরাসরি ইংরেজি সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবে জিতব। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এককভাবে সরকার গঠনের অবস্থানে আমরা আছি।’

তারেক রহমান বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের পথে রয়েছে বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন তিনি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা তারেক রহমান বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি দেশ পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। দেশে একটি ‘মুক্ত ও গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পূর্ণতা পাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পরবর্তী সরকারকে দুর্বল অর্থনীতি, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক খাত এবং প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মুখোমুখি হতে হবেÑ দেশত্যাগ করে, যেখানে শেখ হাসিনা রয়েছেন। আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তারেক রহমানেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। জরিপে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি এখন সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ও নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছেন।

তারেক রহমান ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে বলেন, আওয়ামী লীগ একটি ‘ফ্যাসিস্ট দল’ এবং বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ, বিশেষ করে গত বছরের ছাত্র আন্দোলন থেকে গঠিত নতুন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে সরকার গঠনে প্রস্তুত।

এনসিপি প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা তাদের রাজনীতিতে স্বাগত জানাব। তারা তরুণ, ভবিষ্যৎ তাদেরই।’

তারেক রহমান ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কিছু দিক তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু পোশাক রপ্তানির ওপর নির্ভর না করে আমাজন, ই-বে ও আলিবাবার মতো অনলাইন খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহকেন্দ্র হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, তার সরকার ভারতের সঙ্গে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করবে, যা শেখ হাসিনার সময়কার ‘একপেশে’ সম্পর্ককে পুনর্গঠন করবে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫৯ বছর বয়সি তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়, যা তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। তারেক রহমান প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, নতুন বিএনপি সরকার প্রতিশোধের এই চক্র ভাঙবে। এরই মধ্যে বিএনপি ৫ আগস্টের পর থেকে প্রতিশোধের সঙ্গে জড়িত সাত হাজার সদস্যকে শাস্তি দিয়েছে বা বহিষ্কার করেছে।

তবে আওয়ামী লীগকে আবার রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট উত্তর দেননি। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে চলমান মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তারেক রহমান বলেছেন, ‘যদি তারা দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে আওয়ামী লীগ কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে?’

তারেক রহমান বলেন, নির্বাচিত হলে তিনি বিদেশে পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধারে ইউনূস সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন।

তবে বিএনপির আগের শাসনামলে টানা পাঁচ বছর বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। ২০০৮ সালে ফাঁস হওয়া এক মার্কিন কূটনৈতিক বার্তায় তারেক রহমানকে বলা হয়েছিল ‘লুটতরাজ ও সহিংস রাজনীতির প্রতীক’। যেখানে উল্লেখ করা হয়, তিনি ‘প্রকাশ্যে ও নিয়মিত ঘুষ দাবির জন্য কুখ্যাত’।

দলীয় অতীত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারেক রহমান স্বীকার করেন, যেকোনো সরকারেরই কিছু ত্রুটি থাকতে পারে, তবে তিনি বিএনপির দুর্নীতি দমনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘বিএনপিই বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গঠন করেছিল।’

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশি গণমাধ্যমে ছড়ানো ভুয়া বর্ণনাই ওই মার্কিন তারবার্তার ভিত্তি তৈরি করেছিল এবং তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা এখন প্রত্যাহার হয়েছে।’
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!