মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৫, ১১:৫৬ পিএম

সংসার করবে মর্মে জামিন নিয়ে চম্পট

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৫, ১১:৫৬ পিএম

সংসার করবে মর্মে জামিন নিয়ে চম্পট

জামালপুরে আদালতে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে বসবাস করবে মর্মে জামিন প্রার্থনা করা স্বামী জিহাদ হাসান জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে পালিয়ে গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার বিকেলে। ভুক্তভোগী ওই নারী বর্তমানে দুই সন্তানসহ তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।

ভুক্তভোগী নারী জানান, দীর্ঘ প্রেমের পর ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল জামালপুর সদর উপজেলার লাহাড়ীকান্দার নবাবপুর গ্রামের মো. মোতালেবের ছেলে জিহাদ হাসানের সঙ্গে তার বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর তাদের ঘরে জন্ম নেয় প্রথম সন্তান। কয়েক বছরের সংসার জীবনে আসমাউল হুসনা জানতে পারেন, তার স্বামী আগেও একাধিক বিয়ে করেছেন এবং বর্তমানে মাদক ও পরনারীতে আসক্ত। এ ছাড়া ভরণপোষণ না দেওয়ার পাশাপাশি স্বামী প্রায় সময় যৌতুকের জন্য চাপ দেয়।

এ অবস্থায় স্বামী আসমাউল হুসনাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তার স্ত্রী ও প্রথম সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ার পরও স্বামী কোনো খোঁজ নেননি।

ভুক্তভোগী নারী চলতি বছরের মে মাসে জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর জিহাদকে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে ডাকা হলেও তিনি আদালতের ডাকে সাড়া দেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ত্রী ও সন্তানদের নামে মানহানিমূলক মন্তব্য ও অশালীন ছবি প্রকাশ করেন। জুলাই মাসে সরকারি খরচে মামলা দায়েরের পর আদালতে হাজির হন জিহাদ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৫ অক্টোবর জামালপুর জেলা কগনিজেন্স আদালতে জিহাদ হাসান স্ত্রী ও সন্তানদের স্বীকৃতি দিয়ে তাদের ভরণপোষণ ও একসাথে বসবাস করবে মর্মে জামিনের আবেদন করেন। আদালত এভিডেভিডের ভিত্তিতে জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু জামিন পাওয়ার পরই তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের জেলা জজ আদালতের সামনে থেকে অটোরিকশায় নিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথে স্ত্রীর কাছে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার কৌশলে জিহাদ নিয়ে চলে যায়। এরপর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনা বাজারে স্ত্রী ও সন্তানদের একটি দোকানের সামনে বসিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। চার ঘণ্টা অপেক্ষার পর ভুক্তভোগী নারী সন্তানদের নিয়ে পৈতৃক ভিটায় ফিরে যান।

ভুক্তভোগী নারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট লতিফা সুলতানা লাকী বলেন, ‘আদালতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে জামিনের আবেদন প্রতারণার শামিল। ভুক্তভোগী নারীর সাথে যা হয়েছে তা আইনের চোখে অপরাধ। অভিযুক্তকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!