জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকা-’ বলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একজন পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫’ শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ সভায় বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। তবে তিনি মানবাধিকার কমিশনের ওই পরিচালকের নাম প্রকাশ করেননি। আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ সভায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলও ছিলেন।
আদিলুর রহমান খান বলেন, আমাদের দেশে সেনাসমর্থিত সময়ে একটা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠিত হয়। যেটা এরপরে রাজনৈতিক কর্মীদের দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছিল এবং মানুষের অধিকারকে অধিকারহীন করে দেওয়ার জন্য তৎপরতা ছিল তাদের। এমনকি যখন জুলাই ৩৬-এর সংগ্রাম চলছে, তখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একজন ডিরেক্টর জাতিসংঘ চিঠি লেখেন যে, সন্ত্রাসবাদীরা বাংলাদেশে সন্ত্রাস তৈরি করছে। এই ব্যাপারে কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি আশা করব, মানবাধিকার কমিশনের এই ব্যক্তিদের ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নতুন অধ্যাদেশের অধীনে ‘সত্যিকারের’ মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করে মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার কমিশন আছে। সবকটি কার্যকর হয়নি। বাংলাদেশে এখন কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই আইনের খসড়া সত্যিকার অর্থে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-সহ বিভিন্ন ধরনের যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে থাকে, সেগুলো দেখবে। আদালত যেন তৈরি থাকে। যা আগে ছিল না।’
ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা রয়েছে। তার আগেই এই কাজ শেষ করার ওপর জোর দিয়ে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, ‘যাতে বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো অন্যায়-অবিচারের শিকার না হয় বা শিকার হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি না হয়।’ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানও এই সভায় বক্তব্য রাখেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন