*টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ
দিল্লিতে দ্বিতীয় টেস্টে লড়াই করেও ম্যাচ বাঁচাতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচটিতে ৭ উইকেটে হেরেছে তারা। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল স্বাগতিক ভারত। এ সিরিজ জয়ের মাধ্যমে নতুন কীর্তি গড়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক শুবমান গিল। ইংল্যান্ড সফরে ব্যাটে ও নেতৃত্বে দারুণ পারফরম্যান্সের পর এবার অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতলেন তিনি। ইংল্যান্ড সফরে ব্যাটিংয়ে রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়েন শুবমান গিল, নজর কাড়েন অধিনায়ক হিসেবেও। সেখানে শেষ টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র করেছেন, যেটিকে অনেকে মনে করেন জয়ের সমানই। তবে জয়ের মতো আর জয়, দুটিতো এক নয়। সত্যিকারের জয়ের স্বাদও এবার পেয়ে গেলেন তিনি। ভারতের অধিনায়ক হিসেবে জিতলেন প্রথম টেস্ট সিরিজ। ম্যাচের ভাগ্য গড়া হয়ে গিয়েছিল আগেই। শেষ দিনে মঙ্গলবার জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫৮ রান। উইকেট ছিল ৯টি। ওই পথটুকু পাড়ি দিতে আরও দুটি উইকেট হারায় তারা। ৩৯ রানে আউট হন সাই সুদর্শান। একটি করে ছক্কা ও চার মেরে গিল আউট হন ১৩ রানে। তবে জিততে সমস্যা হয়নি। ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুল অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। দুই ইনিংস মিলিয়ে আট উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন কুলদিপ যাদব। ম্যান অব দ্য সিরিজের স্বীকৃতি পান রবীন্দ্র জাদেজা। সিরিজে এক ইনিংসেই ব্যাট করে অপরাজিত সেঞ্চুরি করেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার, দুই টেস্টে উইকেট শিকার করেন আটটি।
টেস্ট সিরিজ জয়ের পর ভারত অধিনায়ক শুবমান গিল জানালেন, নেতার দায়িত্বে মানিয়ে নিচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ভারতকে নেতৃত্ব দিতে পারা অনেক বড় সম্মানের। বলতে পারেন, এসবে এখন অভ্যস্ত হয়ে উঠছি। দলকে সামলানো, অধিনায়কত্ব করা, এসব বড় প্রাপ্তি।’ শুবমান আরও বলেন, ‘নেতৃত্বের ব্যাপারটি হলো, ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমি চেষ্টা করি, ম্যাচের অবস্থা বুঝে সেরা বিকল্পটি বেছে নিতে। কখনো কখনো সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হয়, নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে ‘এক্স-ফ্যাক্টর’ হয়ে কে গুরুত্বপূর্ণ রান করতে পারে বা উইকেট নিতে পারে, সেটা ঠিক করতে হয়। প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের পর দ্রুতই শুরু হচ্ছে গিলের নেতৃত্বের নতুন অধ্যায়। টেস্ট জয়ের পরদিনই অস্ট্রেলিয়ার উড়ানে উঠবেন তিনি ও তার দল। আগামী রোববার অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি শুরু হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন