বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৫, ০১:০৩ এএম

আরবের ফল সাম্মাম চাষে বাজিমাত

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৫, ০১:০৩ এএম

আরবের ফল সাম্মাম  চাষে বাজিমাত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের পরিশ্রমী কৃষক মো. সরোয়ার হোসেন আরবের জনপ্রিয় ফল সাম্মাম চাষ করে প্রথমবারেই পেয়েছেন চমকপ্রদ সাফল্য। উপজেলায় এই ফলের বাণিজ্যিক চাষ এবারই প্রথম। ফলে সরোয়ারের এই সফলতা স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে তৈরি করেছে আগ্রহ ও উৎসাহ।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে সরোয়ার ২০ শতাংশ জমিতে সাম্মাম চাষ করেছেন। তিনি ব্যবহার করেছেন উন্নত কৃষি প্রযুক্তি মালচিং পদ্ধতি, যাতে আগাছা কম হয় এবং ফলন ভালো পাওয়া যায়। প্রায় আড়াই মাস আগে রোপণ করা চারাগুলোতে এখন সারি সারি ফল ঝুলছে।

আরবের এই ফল সাম্মাম (স্থানীয়ভাবে মাস্ক মেলন নামেও পরিচিত) শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিতেও অনন্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন এক কাপ সাম্মাম শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা করে ও ক্লান্তি দূর করে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরোয়ারের জমির ফলন দেখে অনেক কৃষক ইতোমধ্যে সাম্মাম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আগামী মৌসুমে প্রদর্শনী প্লটের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনাও নিয়েছে কৃষি বিভাগ।

সরোয়ারের এই সাফল্যে দশমিনায় শুরু হয়েছে কৃষির নতুন অধ্যায়। আগে অনাবাদি পড়ে থাকা জমি এখন সম্ভাবনাময় ফসলের মাঠে পরিণত হচ্ছে। কৃষি দপ্তর আশা করছে, সাম্মাম চাষ বিস্তৃত হলে স্থানীয় অর্থনীতিতেও আসবে নতুন গতি। দশমিনার প্রান্তিক কৃষক সরোয়ারের পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস এখন অন্য কৃষকদের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে আরবের এই ফলের সঙ্গে তিনি যেন বুনেছেন বাংলার কৃষিতে নতুন স্বপ্নযাত্রা।

চাষি সরোয়ার বলেন, ‘প্রথমে ভাবিনি এত ভালো ফলন পাব। এখন মনে হচ্ছে, সাম্মামই হতে পারে আমার ভবিষ্যতের ভরসা। প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, আশা করছি এক লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারব। আগামী মৌসুমে বড় পরিসরে চাষের পরিকল্পনা করছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, ‘সাম্মাম চাষে আলাদা জমির প্রয়োজন নেই। পতিত জমিকে আবাদে আনতে আমরা কৃষকদের এই ফল চাষে উৎসাহিত করছি। উৎপাদন খরচ কম, কিন্তু বাজারমূল্য ভালোÑ তাই কৃষকরা সহজেই লাভবান হতে পারবেন।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!