শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ১২:৩৮ এএম

৪ নভেম্বরের মধ্যেই বইমেলার রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৫, ১২:৩৮ এএম

৪ নভেম্বরের মধ্যেই বইমেলার  রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি

ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় অমর একুশে বইমেলা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আয়োজন করতে হবে বলে জানিয়েছেন একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাসার ফিরোজ শেখ। এ ছাড়া আগামী ৪ নভেম্বরের মধ্যেই সরকারকে বইমেলা নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দিতে আলটিমেটাম দিয়েছে সংগঠনটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার শাহ আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন একুশে বইমেলা সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুর রহমান লালটু।

জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান বলেন, সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য অমর একুশে গ্রন্থমেলা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। লেখক, পাঠক, প্রকাশকদের পক্ষ থেকে আমরা সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, একুশে বইমেলা জনগণের বইমেলা। জনআকাক্সক্ষা পদদলিত করার শক্তি পৃথিবীর কেউ রাখে না। আমাদের প্রাণের বইমেলাও কেউ বন্ধ করে দিতে পারবে না। প্রয়োজনে আমরা রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বার হব; প্রয়োজনে বুকের রক্ত ঢেলে দেব কিন্তু আমাদের জাতিসত্তার প্রতীক একুশের বইমেলা বন্ধ করতে দেব না।

তিনি বলেন, ‘সরকার বলেছে, নির্বাচনের কারণে তারা নিরাপত্তা দিতে পারবে না। এ দেশের জনগণকে কোনো সরকারই নিরাপত্তা দিতে পারেনি, বরং জনগণই তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে এবং নিরাপত্তা দিয়েছে। জনগণ যখনই চেয়েছে, সরকারকে বিদায় নিতে হয়েছে। যেমন: হাসিনাসহ অতীতের সব স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্টদের বিদায় নিতে হয়েছে। নির্বাচন থাকবে নির্বাচনের জায়গায়। বইমেলা থাকবে বইমেলার জায়গায়।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি ও সংবাদিক হাসান হাফিজ বলেন, ‘আমি তো মনে করি, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশন দরকার। সরকারের কেন যেন সোজা আঙুলে ঘি উঠছে না। সরকার কী করছে বুঝি না। তারা এক বছর ধরে নির্বাচন করতে পারছে না। ভয়ংকর দৈন্য অবস্থায় পড়েছে। রোজায় কি অফিস-আদালত বন্ধ থাকে? বইমেলা হোক। সরকারকে আহ্বান জানাব, সময় থাকতে বইমেলা হোক।’

এডর্ন প্রকাশনীর প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিতেই চাই। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন বলেন, ‘৪ নভেম্বরের মধ্যে বইমেলার ঘোষণা না এলে আমরা ৫ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাব এবং স্মারকলিপি দেব।’ কবি কামরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের আজকের প্রতিবাদ থেকে আবারও ঘোষণা করতে চাই, আমরা কোনোভাবেই বইমেলা ব্যর্থ হতে দেব না। এটাকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!