আইন সচেতনতা বৃদ্ধিতে জামালপুরে ফৌজদারি কার্যবিধি-১৯৯৮, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন-২০০০, আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০ এর সর্বশেষ সংশোধনী বিষয়ে জেলা বিচার বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম।
জামালপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, চিফ লিগ্যাল এইড অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), সিনিয়র সিভিল জজ, সহকারী সিভিল জজ, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক, র্যাব-১৪ সিপিসি-১ এর কমান্ডারের প্রতিনিধি ও জেলার সব থানার ওসিবৃন্দসহ বিচার ও পুলিশ বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারের প্রধান অতিথি জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি, নারীর ও শিশু নির্যাতন দমন এবং আইন সহায়তা প্রদান আইনগুলোর প্রধান লক্ষ্য হলো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং অপরাধ দমন করা। এই আইনগুলোতে আনা সংশোধনগুলো আইনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এ সংশোধনীগুলো আইনের প্রয়োগকে আরও সহজ ও কার্যকর করে তোলে এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করে।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে জামালপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ন্যায়বিচার সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত বাস্তবতার ওপর নির্ভর করে। সমাজ যেমন বদলায়, অপরাধের ধরনও তেমনি বদলায়। একইসাথে অপরাধ মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ বদলে যায়। বলা যায়, বিচার প্রার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সংশোধনী আইন খুবই গুরুত্ব বহন করে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন