বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মাগুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০২:০৯ এএম

মাগুরায় অস্থির পেঁয়াজের বাজার

মাগুরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০২:০৯ এএম

মাগুরায় অস্থির পেঁয়াজের বাজার

মাগুরায় পেঁয়াজের বাজারে দাম নিয়ে অস্থিরতা বেড়েছে। বছরের শেষ দিকে এসে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এখন কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অতি মুনাফালোভীদের কারণে পেঁয়াজের বাজারে এমন অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের।

শহরের একতা কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পেঁয়াজের জমজমাট বেচাকেনা চলছে। এই বাজারে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসেন কৃষক ও ফড়িয়ারা। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কেনাবেচা হয়। এখান থেকে পেঁয়াজ ঢাকা, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বিক্রির জন্য যায়। সাম্প্রতি দেশের পেঁয়াজের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয়। প্রতিদিনই বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে।

গত এক সপ্তাহ আগে এই বাজারে প্রকারভেদে দেশি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এক মাস আগে যেখানে ৬০-৭০ টাকা দরে পেঁয়াজ পাওয়া যেত। কিন্তু সপ্তাহের ব্যবধানে এখানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বছরের শেষদিকে এসে পেঁয়াজের দামের ঘোড়া লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এর জন্য অতি মুনাফালোভীদের দায়ও থাকতে পারে, যার কারণে সরকার পেঁয়াজ আমদানির হুমকি দিয়েছে।

বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা কৃষক আব্দুল হালিম জানান, এখন বাজারে পেঁয়াজের যে দাম, তাতে আমরা খুশি। কিন্তু আসল কথা হলো, আমাদের ঘরে বিক্রির জন্য আর কোনো পেঁয়াজ নেই। মৌসুমের শুরুতে অল্প দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। যখন দাম বাড়ল, তখন কৃষকেরা দাম পেলেন না।

পেঁয়াজের ক্রেতা মজনু বিশ্বাস জানান, আমি নিয়মিত প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনি এবং বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করি। এক মাস আগে আমরা খুচরা বাজারে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করে ৫ থেকে ১০ টাকা লাভ করতাম। এখন ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করে একই পরিমাণ লাভ করতে হচ্ছে। অথচ আগের থেকে এখন কেজিপ্রতি বেশি বিনিয়োগ করতে হচ্ছে।

দিনমুজুর আব্দুস সালাম জানান, আমাদের নিয়মিত পেঁয়াজ কিনতে হয়। পেঁয়াজ ছাড়া তারকারি খেতে পারি না। আমাদের শ্রমের দাম বাড়ে না, অথচ বাড়তি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারে নজর দেওয়া উচিত, আমাদের মতো দিনমজুর শ্রমিকদের জন্য দাম বেড়ে গেলে কেনা খুবই কষ্টদায়ক হয়ে যায়।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!