দশম গ্রেড বাস্তবায়নসহ ৩ দফা দাবিতে আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডে আহত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার মারা গেছেন। গতকাল রোববার রাজধানী ঢাকার মিরপুরে আলোক হেলথকেয়ার অ্যান্ড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত ৮ নভেম্বর শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকদের সমাবেশে সাইন্ড গ্রেনেডে অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, তিন দফা দাবিতে সহকারী শিক্ষকদের যে আন্দোলন হয়েছিল, সেই আন্দোলনে শাহবাগে কলম বিরতির দিন অংশ নেন ফাতেমা আক্তার। ফাতেমা আক্তার চাঁদপুরের উত্তর মতলবের ৫ নম্বর ঝিনাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি দুই সন্তানের মা। তার স্বামীর নাম ডিএম সোলায়মান।
উত্তর মতলবের আমিয়াপুর ডা. মহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে আন্দোলনে ছিলাম। উনি গত ৮ নভেম্বর শাহবাগে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দে আতঙ্কগ্রস্ত হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে একপর্যায়ে কথা বলাই বন্ধ হয়ে যায়। তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আজ (রোববার) সকাল ১০টার দিকে তিনি মারা যান।’
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, ‘তিনি সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দে আহত হয়ে রাজধানীর মিরপুরে আলোক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে জানতে পেরেছি। আমরা তার বাড়ি যাচ্ছি। সেখানে জেনে বিস্তারিত জানানো যাবে।’
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (শাহীন-লিপি) খায়রুন নাহার লিপি বলেন, ‘আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার মিরপুরের আলোক হাসপাতালে মারা গেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন