- ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে ২৬ জন বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানিয়েছে রেডক্রস
লিবিয়ার উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দুটি নৌকা ডুবে অন্তত চার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ আছেন ৮০ জনের বেশি। উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলো স্থানীয় প্রসিকিউশনের নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার রাতে লিবিয়ার খুমস উপকূলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গত শনিবার এক বিবৃতিতে লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট জানায়, প্রথম নৌকাটিতে ২৬ জন বাংলাদেশি ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত চারজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা গেছে। তবে বাকিদের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি সংগঠনটি। দ্বিতীয় নৌকাটিতে আট শিশুসহ ৬৯ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন মিশরীয়, বাকিরা মূলত সুদানি নাগরিক। নৌকাডুবির পর তাদের কতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বা কতজন নিখোঁজ আছেন, তা এখনো নিশ্চিত করেনি রেড ক্রিসেন্ট।
খুমস লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার পূর্বের একটি উপকূলীয় শহর। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর দেশটিতে অস্থিতিশীলতা বাড়ে এবং এরপর থেকে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে লিবিয়ার এই পথই অভিবাসীদের কাছে সবচেয়ে সহজ হয়ে ওঠে।
রেড ক্রিসেন্টের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, কালো ব্যাগে মোড়ানো মৃতদেহগুলো সারিবদ্ধভাবে রাখা। স্বেচ্ছাসেবীরা জীবিত উদ্ধার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন। সংগঠনটি আরও জানায়, লিবিয়ান কোস্টগার্ড ও খুমস বন্দর নিরাপত্তা সংস্থা গত দুই দিন ধরে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। এর আগে, গত বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, লিবিয়ার উপকূলের আল বুরি তেলক্ষেত্রের কাছে একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৪২ জন নিখোঁজ হয়েছেন এবং তাদের সবাইকে মৃত ধারণা করা হচ্ছে। তারও আগে, অক্টোবরের মাঝামাঝিতে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পশ্চিম উপকূল থেকে ৬১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে সুদানের ৭৫ জন শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকায় আগুন লেগে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়। অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার জন্য বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় রুট হচ্ছে লিবিয়া। ২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটি ইউরোপগামী অভিবাসীদের ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন