মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ইব্রাহিম আকাশ, লালমোহন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ০১:৩০ এএম

একটি ব্রিজের জন্য ১০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

ইব্রাহিম আকাশ, লালমোহন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৫, ০১:৩০ এএম

একটি ব্রিজের জন্য ১০  হাজার মানুষের দুর্ভোগ

*** দুই বছর ধরে যান চলাচল বন্ধ

ভোলার লালমোহন উপজেলায় দুই ইউনিয়নের অন্তত ১০ হাজার মানুষ প্রায় দুই বছর ধরে একটি ব্রিজের অভাবে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় দুই বছর ধরে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের।

সরেজমিনে জানা যায়, ৩০ বছর আগে কালমা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তরুল্লা সেন্টার ও বিশ্বাসের পাড় এলাকার মধ্যবর্তী নাজিরপুর খালের ওপর প্রায় ৩০ মিটার লম্বা আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। কয়েক বছর আগে ব্রিজটির মধ্যবর্তী দুটি অংশ ভেঙে গর্তে পরিণত হয়। স্থানীয়রা পরে কাট দিয়ে গর্ত আটকে দেয়, কিন্তু ব্রিজের রেলিং ভেঙে যায়। প্রায় দেড় বছর আগে ব্রিজের সামনের অংশ ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে সব ধরনের যানবাহনের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

কালমা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শরিক ইসলাম ও মহিউদ্দিন জানান, এই ব্রিজ দিয়ে অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, বোরাক, টেম্পু ও নসিমন চলাচল করত। এখন ব্রিজটি ভাঙার কারণে মানুষ পায়ে হেঁটে পারাপার করছেন। অনেকেই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

বিশ্বাসের পাড় গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহ আলম বিশ্বাস জানান, লালমোহন থেকে তাদের এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। ব্রিজ পার হয়ে আমাদের যাতায়াত করতে যেতে হয়। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার তারা এখন ব্রিজের কাছে এসে হেঁটে বাড়িতে যেতে হয়। বাড়ির জন্য বাজার ও চালের বস্তা নিয়ে যেতে তাদের অনেক কষ্ট হয়।

একই এলাকার বাসিন্দা, মো. শাহাবুদ্দিন জানান, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার তাদের গ্রামের রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক কষ্ট হয়। কোনো যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে না পারায় ভোগান্তিতে পরতে হয়। অনেক সময় রোগীদের বাড়িতে থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ হেঁটে ভাঙা ব্রিজ পার হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়।

স্কুলছাত্রী, শারমিন এবং সুমাইয়া জানায়, প্রতিদিন ভাঙা ব্রিজ পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। ভয় নিয়েও ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় আমাদের। মো. মানিক হাওলাদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজটি ভাঙা অবস্থায় মরণফাঁদে পরিণত হলেও সংস্কার কিংবা নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। দ্রুত ভাঙা ব্রিজটি অপসরণ করে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলার এলজিইডির উপজেলার প্রকৌশলী রাজীব সাহা বলেন, ওই আয়রন ব্রিজসহ লালমোহন উপজেলার আরও কয়েকটি ব্রিজ নতুন করে নির্মাণের জন্য তারা প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণ করে জনগণের ভোগান্তি দূর করা হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!