আজ মিরপুরের শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম নতুন এক কীর্তির সাক্ষী হতে যাচ্ছে। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার ১০০তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবেন। আর সেই সৌভাগ্যবান ক্রিকেটারের নাম মুশফিকুর রহিম। সিলেটে গত টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৯তম টেস্ট ম্যাচ খেলে আসার পর থেকেই তার শততম টেস্টের অপেক্ষায় বাংলাদেশ। মুশফিকের এই মাইলফলকের ম্যাচটি জয়ে রাঙিয়ে দিতে চান নাজমুল হোসেন শান্তরা। আইরিশদের বিপক্ষে গত টেস্টে দাপুটে ক্রিকেট খেলে ইনিংস ও ৪৭ রানে জিতেছে তারা। এতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে স্বাগতিকেরা। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্টেও ভালো খেলে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিতে চায় বাংলাদেশ।
২০০০ সাল থেকে অভিজাত ফরম্যাটের টেস্ট ক্রিকেট খেলছে টাইগাররা। আজ ১৫৬তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে একমাত্র মুশফিকই ১০০টি টেস্ট ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। ২০০৫ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট দলে অভিষেক হয়েছিল তার। ২০ বছরের পথচলায় এবার নতুন মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছেন এই ক্রিকেটার। মুশফিকের শততম টেস্ট ম্যাচ ঘিরে থাকছে বিশেষ আয়োজন। ম্যাচ শুরুর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে মুশফিকের হাতে তুলে দেওয়া হবে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট। তার পরিবারের সদস্যরা মাঠে উপস্থিত থাকবেন। সব খেলোয়াড়ের স্বাক্ষর সংবলিত একটি জার্সিও উপহার দেওয়া হবে মুশফিককে। বিশ^ টেস্ট ইতিহাসে ৮৪তম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০তম টেস্ট ম্যাচ খেলছেন মুশফিক। সর্বশেষ এই তালিকায় নাম লেখান অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক।
মাইলফলকের ম্যাচে মুশফিককে বড় জয় উপহার দিতে চাইবেন তার সতীর্থরা। অবশ্য মুশফিক নিজেও তার ইতিহাসগড়া ম্যাচটি ব্যাট হাতে স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টায় থাকবেন। শততম টেস্ট ম্যাচের আবেগ একপাশে রেখে নিবিড় অনুশীলনে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে গত টেস্টে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি মুশফিক। ২৩ রানে আউট হয়ে যান তিনি। এবার মিরপুরে বড় ইনিংস খেলার টার্গেট তার। গত ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে রীতিমতো রান-উৎসব করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দীর্ঘদিন পর উদ্বোধনীতে শত রান ছাড়ানো (১৬৮) জুটি দেখেছে বাংলাদেশ। প্রথম চার ব্যাটসম্যানের দুজন সেঞ্চুরি ও অন্য দুজন পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন। রেকর্ডময় ব্যাটিংয়ে স্কোর বোর্ডে ৬০০-এর কাছাকাছি রান জমা করে ইনিংস ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ। তাতেই বড় জয় নিশ্চিত হয় স্বাগতিকদের। বোলিংয়ে অভিষিক্ত হাসান মুরাদ আলো ছড়ান। দুই ইনিংস মিলে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেন এই নবীন স্পিনার। মিরাজ ও তাইজুলও উজ্জ্বল ছিলেন। এবার মিরপুরের মাঠেও স্পিনেই দাপট দেখানোর চেষ্টা করবে বাংলাদেশ। স্পিনাররাই ম্যাচের গতিপথ নির্ধারণ করে দিতে পারেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন