শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০১:৩৮ এএম

মঙ্গলে রহস্যময় পাথর আলেচনা-কৌতূহল

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০১:৩৮ এএম

মঙ্গলে রহস্যময় পাথর  আলেচনা-কৌতূহল

মঙ্গল গ্রহের মাটিতে নতুন একধরনের পাথরের সন্ধান পেয়েছে নাসা। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার পাঠানো পারসিভারেন্স রোভার গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে মঙ্গলের মাটিতে রয়েছে। পাথর বিশ্লেষণ করাই তার কাজ। সেই রোভারের ক্যামেরায় সম্প্রতি নতুন ধরনের পাথরটি ধরা পড়েছে। বিজ্ঞানীদের কৌতূহল বেড়ে গেছে এই পাথরের খবরে। কারণ, পাথরটি মঙ্গলে থাকারই কথা নয়।

নাসার মার্স পারসিভারেন্স রোভার মঙ্গলের মাটিতে পাওয়া প্রতিটি পাথর খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখে। নতুন পাওয়া পাথরটি প্রায় ৩১ ইঞ্চি চওড়া। এটি পাওয়া গেছে মঙ্গল গ্রহের জেজিরো ক্রেটারের ভারনোডেন এলাকায়। বিজ্ঞানীরা তার নাম দিয়েছেন ফিপসাকস্লা। এই পাথরের মোট দুটি ছবি নাসার হাতে এসেছে। একটিতে তাকে দেখা যাচ্ছে একেবারে কাছ থেকে, অন্যটিতে কিছুটা দূর থেকে।

ফিপসাকস্লা মঙ্গলের ভূতাত্ত্বিক পরিম-লের সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়। কারণ, তার মধ্যে এমন দুটি ধাতু রয়েছে, যা মঙ্গলের আর কোনো পাথরে এত বেশি পরিমাণে নেই। লোহা ও নিকেল-সমৃদ্ধ পাথরখ- ফিপসাকস্লা। বিজ্ঞানীদের অনুমান, বাইরে থেকে এই পাথর মঙ্গলে এসে পড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি আসলে একটি উল্কাপি-, যা অতীতের কোনো এক সময়ে মঙ্গলের মাটিতে আছড়ে পড়েছিল। সেই থেকে সেখানেই রয়ে গেছে।

লোহা ও নিকেল-সমৃদ্ধ উল্কাপি- সাধারণত বড়সড় গ্রহাণুর কেন্দ্র থেকে উৎপন্ন হয়। হতে পারে, মঙ্গলের পাথরখ-টির উৎস তেমনই কোনো গ্রহাণু। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে ভালো হতো, যদি এই পাথরের অংশ পৃথিবীতে নিয়ে এসে পরীক্ষা করে দেখা যেত। কিন্তু এই মুহূর্তে তা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ, নাসার পারসিভারেন্স রোভার কেবল বস্তুকে পরীক্ষা করে দেখতে পারে এবং তার ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাতে পারে। বস্তুটিকে পৃথিবীতে পাঠানোর ক্ষমতা তার নেই। তার জন্য অন্য কোনো যান মঙ্গলে পাঠাতে হবে নাসাকে। এই মুহূর্তে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই।

নতুন পাথরের ছবি দেখে প্রথমেই সন্দেহ হয়েছিল নাসার বিজ্ঞানীদের। অন্য পাথরগুলোর চেয়ে এর আকার ছিল কিছুটা অস্বাভাবিক। এই পাথর তুলনামূলক বড় দেখাচ্ছিল। পারিপার্শ্বিকের তুলনায় কিছুটা উঁচুতে অবস্থান করছিল। পাথরের গায়ে ক্ষতবিক্ষত করা অংশ দেখেও বিজ্ঞানীদের চোখ আটকে গিয়েছিল শুরুতেই। পারসিভারেন্স রোভার এই পাথরের ধরন পরীক্ষা করতে সুপারক্যাম ইনস্ট্রুমেন্টের লেজার ও স্পেক্ট্রোমিটার ব্যবহার করেছে। তা থেকে নিখুঁতভাবে জানা গেছে পাথরের মধ্যকার রাসায়নিক, লোহা ও নিকেলের পরিমাণ।

এর আগে মঙ্গলের মাটিতে লোহা ও নিকেল-সমৃদ্ধ ধাতুর হদিস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু পারসিভারেন্স রোভারের ক্যামেরায় এ ধরনের পাথর এই প্রথম। ফিপসাকস্লা কোনো উল্কাপি- কি না, বিজ্ঞানীরা এখনো তা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না। তবে এটি লাল গ্রহের ইতিহাস সম্বন্ধে বহু অজানা তথ্য আমাদের সামনে এনে দিতে পারেÑ মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মঙ্গলের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিল নাসার পারসিভারেন্স রোভার। সেই থেকে লাল গ্রহের পাথুরে ভূমি, প্রাচীন হ্রদের উপত্যকায় বিচরণ করে বেড়াচ্ছে যন্ত্রটি। মঙ্গল গ্রহে আদৌ কোনো কালে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না, ভবিষ্যতে সেখানে প্রাণীর বসবাস সম্ভব কি নাÑ এ বিষয়ে বিজ্ঞানীদের কৌতূহল বহু দিনের। পারসিভারেন্স রোভারও নাসার সেই অনুসন্ধান অভিযানেরই অঙ্গ। মঙ্গলে পাথরের নমুনা সংগ্রহ করা প্রথম যন্ত্র এই রোভার। এর ভেতরে ছোটখাটো একটি ল্যাবরেটরি রয়েছে। পাথরের নমুনা সেখানে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা যায়। মঙ্গল সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন। পৃথিবীর পড়শি গ্রহে পারসিভারেন্স রোভারের মেয়াদের কোনো সময়সীমা বাঁধা নেই। যত দিন তা সক্রিয় থাকবে, তত দিন চলবে অন্বেষণ। ফলে এর মাধ্যমে আরও অভিনব আবিষ্কারের আশায় রয়েছে নাসা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!