শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কক্সবাজার ব্যুরো

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০১:৩৯ এএম

ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযানে সংঘর্ষ

বিজিবি ও পুলিশ আহত গাড়ি ভাঙচুর, আটক ৫

কক্সবাজার ব্যুরো

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০১:৩৯ এএম

বিজিবি ও পুলিশ আহত  গাড়ি ভাঙচুর, আটক ৫

কক্সবাজার জেলায় ১০৮টি ইটভাটার মধ্যে ৮৫টি অবৈধ এবং মাত্র ২৩টি বৈধ। তবে অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে জানা গেছে। চলতি মৌসুমে এসব ইটভাটায় বনের কাঠ পোড়ানোর সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বেশ কিছু ইটভাটায় এরই মধ্যে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের বাদশারটেক এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রমিকদের সঙ্গে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বিজিবি ও পুলিশ সদস্যসহ সাতজন আহত হয়েছেন। ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবির ট্রাকসহ ছয়টি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইটভাটা উচ্ছেদের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা লামার ফাইতং ইউনিয়নের দিকে যাওয়ার পথে খবর পেয়ে একদল লোক কাকারা ইউনিয়নের বাদশার টেক এলাকায় অবস্থান নেয় এবং পথ রোধ করে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হলে পুলিশ ও বিজিবির সাত সদস্য আহত হন। পরে বাধার মুখে আভিযানিক দল ফিরে যায়।

শ্রমিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের অংশে আটজন নারী-শিশুসহ মোট ৫০ জনের অধিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জনের অধিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেককে আটক করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পরিচালিত স্পেশাল অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজুয়ান উল ইসলাম। এ সময় আলীকদম সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর হাফিজ, সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট (লামা) রুবায়েত আহমেদ, লামা থানার পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবেশ অধিদপ্তর অংশ নেয়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তৌহিদুল আনোয়ার জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাত সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

জানা গেছে, অবৈধ ইটভাটাগুলো মূলত পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে উঠেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে বা পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে। এই ইটভাটাগুলোতে বনের কাঠ পোড়ানো হয় এবং রোহিঙ্গা ও শিশু শ্রমিকদের ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও মালিকেরা নির্দেশনা অমান্য করছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলার টেকনাফ, উখিয়া, রামু, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ইটভাটা রয়েছে ১০৮টি। এর মধ্যে ৩৩টি ইটভাটা নির্মিত হয়েছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে। অপর ৫৪টি ইটভাটা বিভিন্ন গ্রামে তৈরি হলেও এসবের বিপরীতেও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স নেই।

কক্সবাজারের পরিবেশবাদী নেতা অশোক কুমার বড়ুয়া বলেন, কৃষিজমির টপ সয়েল, পাহাড় ও টিলার মাটি দিয়ে ৬০টির বেশি ভাটায় ইট উৎপাদিত হচ্ছে। ১৫ থেকে ১৬ বছর ধরে এসব ভাটায় অবৈধভাবে ইট উৎপাদন চললেও ঠেকানো যাচ্ছে না।

প্রসংগত, ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমারেখা থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। আইনে বলা আছে, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান, জলাভূমি ও কৃষিজমিতে ইটভাটা করা যাবে না। ইট উৎপাদনের জন্য কৃষিজমি, পাহাড় ও টিলা থেকে মাটি কেটে কাঁচামাল এবং জ¦ালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহারও নিষিদ্ধ।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!