রেদোয়ানুলসহ ২ সেনা কর্মকর্তার অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ ২ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়েছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল-১এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে শুনানি শুরু হয়। আসামিপক্ষ ভার্চুয়ালি শুনানির আবেদন করেন।

গতকাল সকাল সোয়া ১০টার পর ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। এ মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি করে প্রসিকিউশন।

এদিকে, গতকাল নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয় ট্রাইব্যুনালের আশপাশের এলাকা। এ সময় হাইকোর্টের সামনে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল।

রেদোয়ানুল ছাড়া অপরজন হলেন- বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম। পলাতকরা হলেনÑ ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান। পলাতকদের পক্ষে গত ২৪ নভেম্বর স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১।

ওই দিন ২ সেনা কর্মকর্তার হয়ে আইনি লড়াই করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ সালাহউদ্দিন। তিনি নিজের ক্লায়েন্টদের সশরীরে হাজির না হয়ে ভার্চুয়ালি শুনানি বা হাজিরার আবেদন করেন।

এর আগে, গত ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা রেদোয়ান ও রাফাতকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। শুনানি শেষে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল-১। একই সঙ্গে পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চলে। এর মধ্যে রামপুরায় নিহত হয়েছেন ২৮ জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রামপুরায় বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুলকে আন্দোলনকারীদের দিকে সরাসরি গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এছাড়া অন্যরাও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এ হত্যাযজ্ঞে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালে চারজনের বিরুদ্ধে আলাদা ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।