শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৫, ১২:৩৫ এএম

রাখাইনে জান্তা বাহিনীর সর্বশেষ বড় ঘাঁটির কাছে আরাকান আর্মি

ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৫, ১২:৩৫ এএম

রাখাইনে জান্তা বাহিনীর সর্বশেষ বড় ঘাঁটির কাছে আরাকান আর্মি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য প্রায় দখলের দ্বারপ্রান্তে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। কায়াকফিউ টাউনশিপে জান্তা বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ চৌকির দিকে অগ্রসর হচ্ছে তারা। এই ঘাঁটি ঘিরে সংঘর্ষ এরই মধ্যে তীব্র আকার ধারণ করেছে। এই চৌকি মিয়ানমারের সামরিক নৌঘাঁটি দান্যাওয়াদ্দির মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী জানিয়েছে, দান্যাওয়াদ্দি নৌঘাঁটির আশপাশে অন্তত এক ডজন চৌকি স্থাপন করেছে জান্তা বাহিনী। এর মধ্যে কাতথাব্যায় গ্রামে অবস্থিত একটি চৌকিতে চলতি মাসের শুরু থেকে টানা হামলা চালাচ্ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। কায়াকফিউর এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘নৌঘাঁটির কাছে টানা ছয় দিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রচুর ড্রোন দিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে।’ এএর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, চৌকিটি নৌঘাঁটি রক্ষায় জান্তা বাহিনীর মূল অবস্থান। এটি দখলে গেলে অন্যান্য চৌকির পতন ঘটতে পারে এবং নৌঘাঁটি বিপদের মুখে পড়বে। এএ এরই মধ্যে কায়াকফিউ শহরের সঙ্গে দান্যাওয়াদ্দি নৌঘাঁটির সংযোগকারী সড়ক নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং ওই পথে থাকা জান্তা বাহিনীর তিনটি অবস্থান দখল করেছে।

রাখাইন রাজ্যের ১৭টির মধ্যে ১৪টি টাউনশিপ এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এএ। কায়াকফিউয়ে জান্তার একাধিক অবস্থান ঘিরে ফেলেছে তারা। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এত দিন এই অঞ্চলকে বাদ দেওয়ার কারণ হচ্ছে, এখানে চীনের অর্থায়নে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প এবং ইউনান প্রদেশে জ্বালানি সরবরাহের জন্য পাইপলাইন রয়েছে। এ ছাড়া, চীনের সহায়তায় নির্মিত গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং একটি অনশোর গ্যাস টার্মিনাল রক্ষায় নিযুক্ত জান্তা বাহিনীর অবস্থানেও সংঘর্ষের খবর মিলেছে। পাশাপাশি ৩২ নম্বর পুলিশ ব্যাটালিয়নের ঘাঁটিতেও লড়াই হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র জানায়, ‘এই তিন এলাকায়ই তীব্র লড়াই চলছে। জান্তা বাহিনী খুব বেশি বিমান হামলা চালাচ্ছে না, তবে প্রতিদিনই ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করছে। আমি শুনেছি, সম্প্রতি বহু নতুন ড্রোন এসেছে এবং চীনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ড্রোন অপারেটরও এসেছে।’ সূত্র আরও জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় বেসামরিক হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। আবার, কিছু কিছু ক্ষেত্রে জান্তা বাহিনীর সদস্যরাই নিজেদের ড্রোন হামলায় আহত বা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই তথ্যগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি দ্য ইরাবতী। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সংঘর্ষ ও জান্তা বাহিনীর এলোমেলো বোমাবর্ষণের কারণে ৪০টি গ্রামের ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। রাখাইনে এখন শুধু তিনটি শহর রাজ্যের রাজধানী সিতওয়ে ও মানাউংসহ জান্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এএ এরই মধ্যে প্রতিবেশী মগওয়ে, বাগো ও আয়েয়ারওয়াদ্দি অঞ্চলেও অভিযান চালিয়ে সরকারের কাছ থেকে আরও নতুন নতুন এলাকা দখলে নিচ্ছে।

এদিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ততা ও পরিকল্পিত চাঁদাবাজি চালানোর অভিযোগে থাইল্যান্ডের নিরাপত্তা বাহিনীর সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। বুধবার (১৬ জুলাই) প্রকাশিত এক ৪৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, থাই পুলিশ নিয়মিতভাবে মিয়ানমার নাগরিকদের থামিয়ে জেরা করে এবং ঘুষ না দিলে গ্রেপ্তার বা আটক করার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করছে। প্রতিবেদনে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মাই সোত শহরের ঘটনা। সেখানে মিয়ানমারের নাগরিকদের টার্গেট করে থাই পুলিশ অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে অর্থের বিনিময়ে একটি ‘পুলিশ কার্ড’ ইস্যু করে, যার মাধ্যমে গ্রেপ্তার এড়ানো সম্ভব। এই কার্ড দেওয়ার নাম করে যে অর্থ আদায় করা হয়, তা কার্যত একটি আধাগঠনমূলক চাঁদাবাজির চক্র বলে বর্ণনা করেছে এইচআরডব্লিউ। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বর্তমানে থাইল্যান্ডে ৪০ লাখের বেশি মিয়ানমার নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। তারা মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা, নিপীড়ন, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য বন্ধের পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে এসেছে। 
 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!