ঢাকা রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ১৫ আগস্ট

ভিনদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৫, ০১:০৫ এএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, সংঘাত নিরসনের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি চুক্তিতে কিছু অঞ্চল বিনিময় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে। আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের নেতাদের সঙ্গে একটি শান্তি সম্মেলনের সময় হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘উভয় পক্ষের ভালোর জন্য কিছু অঞ্চল বিনিময় করা হবে।’ ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ১৫ আগস্ট বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অবশেষে রুশ প্রেসিডেন্টের সাথে বহুল প্রত্যাশিত বৈঠকটি হতে যাচ্ছে বলে ওই পোস্টে লেখেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস বলেছে, সম্ভাব্য চুক্তি অনুযায়ী ক্রিমিয়া ও পূর্ব ইউক্রেনের পুরো দনবাস অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে রাশিয়া। পুতিনের আলোচনায় যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এক ক্রেমলিন কর্মকর্তা। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া নিকট প্রতিবেশী। বৈঠকের জন্য আলাস্কাকে উপযুক্ত জায়গা বলেই মনে করেন তিনি। ২০১৯ সালের পর প্রথমবারের মতো সরাসরি আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-পুতিন। তবে ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক নিয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ইউক্রেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন আগামী ১৫ আগস্ট আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির প্রচেষ্টাÑ এমনটাও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার একপর্যায়ে এ ঘোষণা দেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে একটি বৈঠক বসতে চলেছি। তাদের দিয়েই আমরা শুরু করছি।’ তিনি বলেন, ‘যেকোনো ধরনের শান্তিচুক্তির জন্য কিছু অঞ্চল বিনিময় করতে হতে পারে।’ ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশেষ করে পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর তা আরও জোরদার হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এ আদালতের সদস্য নয় এবং এর কর্তৃত্ব স্বীকার করে না। সে ক্ষেত্রে আলাস্কায় পুতিনকে স্বাগত জানাবেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য, পুতিনের কথায়-কাজে মিল নেই বলে অভিযোগ তুলে ইউক্রেনীয়রা জানান, ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের মধ্য দিয়ে যুদ্ধ থামানো সম্ভব হবে না বলে শঙ্কায় তারা। অন্যদিকে, সন্দিহান ও সম্ভাবনার মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রুশ জনগণ। আর যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়ে কিছু না বললেও দুই নেতার বৈঠকটি ঐতিহাসিক ঘটনা হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পুতিনের বিনিয়োগ দূত কিরিল দিমিত্রিভ। শান্তি প্রক্রিয়ায় ইউরোপকেও পাশে চাইছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইউক্রেনীয়রা দখলদারদের কাছে তাদের এতটুকু জমিও ছেড়ে দেবে না। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তার এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগেই অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন যে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে আঞ্চলিক ছাড় দেওয়া হতে পারে। ট্রাম্প জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে কিছু এলাকা অদলবদল করবে। তার ভাষ্য, ‘বিষয়টি খুব জটিল। তবে কিছু (এলাকা) আমরা ফিরিয়ে আনব, আর কিছু পরিবর্তন হবে। উভয় পক্ষের মঙ্গলের জন্য এলাকাগুলোর অদলবদল হবে। আমরা এ বিষয়ে পরে অথবা আগামীকাল আরও বিস্তারিত বলব।’ ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে আরও ঘোষণা দেন, তিনি আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বৈঠক করবেন। এ বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে কোনো আলোচনা বা সমাধান শান্তির পরিপন্থি হবে।’ ২০২২ সালে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু করার পর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা দখল করে রেখেছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের অগ্রগতি পায়নি মস্কো, আর ইউক্রেনীয় পাল্টা আক্রমণেও রুশ বাহিনীকে পিছু হটানো যায়নি।