পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরাপত্তা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।
রোববার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে সংস্থাটির প্রি-অপারেশনাল সেফটি রিভিউ টিমের ১৫ সদস্যের দল এ পর্যালোচনার কাজ শুরু করে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রি-ওসার্ট টিম নেতৃত্ব, ব্যবস্থাপনা, প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতা, পরিচালনা প্রস্তুতি, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা, প্রকল্পের প্রযুক্তিগত দিক, পরিচালনা অভিজ্ঞতা ও প্রতিক্রিয়া, বিকিরণ সুরক্ষা, রসায়ন, জরুরি প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া, দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা এবং কমিশনিং প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করবে।
নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জায়েদুল হাসান জানান, ‘আইএইএ টিম সকাল থেকে প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে কাজ শুরু করেছে এবং আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ইউনিট-১-এর পারমাণবিক জ্বালানি (ইউরেনিয়াম) লোডিংয়ের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব প্রস্তুতি শেষে রাশিয়া থেকে সরবরাহকৃত ১৬৩টি ফুয়েল অ্যাসেম্বলি (ইউরেনিয়াম) রিঅ্যাক্টর কোরে স্থাপন করা হবে, যা জ্বালানি লোডিং নামে পরিচিত। এই কার্যক্রমের জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত অনুমোদন প্রয়োজন।’
প্রকল্পের সাইট ডিরেক্টর প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১-এ জ্বালানি লোডিংয়ের কার্যক্রম শুরু করার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তাই প্রি-ওসার্ট মিশন পরিচালনা প্ল্যান্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলারে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় অবস্থিত। এতে দুটি ভিভিইআর-১২০০ চুল্লি থাকবে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০ মেগাওয়াট। প্ল্যান্টের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী আইএইএ’র প্রি-ওসার্ট মিশন প্রথম জ্বালানি লোডের তিন থেকে ছয় মাস আগে পরিচালিত হয়।