আসামে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় চাইলে আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন সেখানকার সাধারণ ভারতীয়রা। এ-সংক্রান্ত লাইসেন্সনীতি অনুমোদন করেছে আসামের ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার। ‘অরক্ষিত বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে’ বসবাসরত নাগরিকদের আত্মরক্ষার জন্য এই নতুন ব্যবস্থা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে আবেদনের জন্য একটি ডিজিটাল পোর্টাল চালুও করেছে আসাম সরকার।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, রাজ্যের কিছু অংশে অস্ত্রের লাইসেন্স যাতে সহজেই পাওয়া যায়, সে জন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য কারা, কীভাবে আবেদন করতে পারবেন, সেটিও জানিয়েছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাজ্যের সংখ্যালঘু-প্রধান ও বাংলাদেশ সীমান্তে থাকা ‘অরক্ষিত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে’ বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য এই লাইসেন্স দেওয়া হবে। গত মে মাসে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যটির মন্ত্রিসভা। এবার সেটি কার্যকর করা হলো।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি আমি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে থাকি অথবা দুই রাজ্যে সীমানাবর্তী এলাকায় বসবাস করি অথবা এমন এক অরক্ষিত ও সংবেদনশীল এলাকায় থাকি, যেখানে আমার সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা কম, তাহলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন