ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

অজ্ঞাত একাধিক দেশে অস্ত্র কারখানা ইরানের

ভিনদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৭:৫৫ এএম

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিজস্ব অস্ত্র কারখানা বানানোর দাবি করেছেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ। তবে কোন কোন দেশে এসব কারখানা তৈরি করা হয়েছে, তা প্রকাশ করেননি তিনি। শনিবার (২৩ আগস্ট) বার্তা সংস্থা ইয়ং জার্নালিস্ট ক্লাবের সঙ্গে দেওয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আজিজ নাসিরজাদেহ এ তথ্য জানান। তিনি বলেছেন, তারা সব সময় ‘মিসাইল ডেভেলপমেন্টকে’ প্রাধান্য দিয়েছেন।

তবে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পর তাদের এ প্রাধান্য হয়তো পরিবর্তন হতে পারে। যেসব দেশে অস্ত্র কারখানা বানানো হয়েছে, সেগুলো নিকট ভবিষ্যতে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত জুনে দখলদার ইসরায়েল ইরানে বিনা উসকানিতে হামলা চালায়। এরপর ইরানও পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে। ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের এ যুদ্ধ ১৩ দিন স্থায়ী হয়। এই যুদ্ধে ইরানের একাধিক পারমাণবিক কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রও।

ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ থামলেও এখনো উত্তেজনা রয়ে গেছে। দুই পক্ষই হুমকি-পাল্টা হুমকি অব্যাহ রেখেছে। ইরানের বাইরে একাধিক দেশে অস্ত্র কারখানা তৈরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ। শুক্রবার রাতে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইরান বেশ কয়েকটি দেশে অস্ত্র উৎপাদন কারখানা স্থাপন করেছে, তবে আপাতত দেশগুলোর নাম প্রকাশ করেননি তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘ইরান গত বছর নতুন ওয়ারহেড পরীক্ষা করেছে, যা অনেক উন্নত এবং কৌশলগত।’ এদিকে গত বৃহস্পতিবার বৃহৎ পরিসরে মহড়া চালিয়েছে ইরানের নৌবাহিনী। ওমান উপসাগর এবং উত্তর ভারত মহাসাগরে ভূপৃষ্ঠের লক্ষ্যবস্তুতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও চালিয়েছে তেহরান। এক মাস আগে ক্যাস্পিয়ান সাগরে ক্যাসারেক্স ২০২৫ নামে পরিচিত ইরান-রাশিয়ার যৌথ মহড়ার পর এই মহড়া চালানো হয়।

১৯৭৯ সাল থেকে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইরানের আধুনিক অস্ত্রের অ্যাক্সেস সীমিত করেছে, যা দেশীয় নকশা এবং পুরোনো সিস্টেমের অভিযোজনের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যদি জুন মাসের সংঘাত ১৫ দিন পর্যন্ত বিস্তৃত হতো, তাহলে ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের কোনো ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে পারত না। আর এ জন্যই ইসরায়েল মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চাইতে বাধ্য হয়েছিল। ইরান তার সবচেয়ে নির্ভুল অস্ত্র কাসেম বাসির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি বলেও জানান তিনি।

কাসেম বাসির ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মে মাসে উন্মোচিত হয়, যা একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ইরান বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার। এতে রয়েছে উন্নত নির্দেশিকা এবং প্রতি-প্রতিরোধক্ষমতা।