থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে ডানপন্থি ধনকুবের ব্যবসায়ী আনুতিন চার্নভিরাকুল দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ৫৮ বছর বয়সি এ রাজনীতিক ভুমজাইথাই পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গতকাল শুক্রবার তিনি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ভোটগ্রহণ শুরু হয়। থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের মোট আসনসংখ্যা ৪৯২। বিজয়ের জন্য কমপক্ষে ২৪৭ জন এমপির ভোট পাওয়া জরুরি ছিল ৫৮ বছর বয়সি আনুতিনের জন্য। ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আনুতিনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩১১ জন এমপি। পার্লামেন্ট ভবনটি আনুতিনের পারিবারিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠানই তৈরি করেছে।
২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে শক্তিশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের ফিউ থাই পার্টি দেশটির সর্বোচ্চ পদগুলো দখল করে রেখেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে আদালতের এক রায়ে এ পরিবারের উত্তরসূরি পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে পদচ্যুত করা হয়। ফলে সৃষ্ট ক্ষমতার শূন্যতা পূরণে সক্রিয় হয়ে উঠেন অনুতিন। তিনি বিরোধী দলগুলোর কাছ থেকে পর্যাপ্ত সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হন। এ সমর্থন তাকে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে সুবিধাজনক সংখ্যাগরিষ্ঠতা এনে দেয়।
গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে আনুতিন বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে একমাত্র সাধারণ শত্রু হলো যিনি দেশের শত্রু। আমাদের একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে।’
৫৮ বছর বয়সি আনুতিন এর আগে উপ-প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে তিনি সম্ভবত সবচেয়ে বেশি পরিচিত ২০২২ সালে গাঁজা আইনসিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন