পাকিস্তানে ধারাবাহিক তীব্র বন্যার প্রভাব ডলারের ওপরও পড়তে শুরু করেছে। বন্যার ফলে সরবারহ বিঘœ ঘটায় পাকিস্তানজুড়ে ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে দেশটিতে ডলারের মজুদ নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ীদের মতে, এভাবে চলতে থাকলে শিগগিরই ডলারের বিপরীত রুপির মান আরও কমে যেতে পারে। পাকিস্তানের বৃহত্তর বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রয়কারী কোম্পানি লিংক ইন্টারন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ কোম্পানির নির্বাহী কর্মকর্তা সালিম আমজাদ বলেন, বর্তমানে অধিকাংশ বিক্রয়কেন্দ্রগুলোয় ডলার নেই। বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার কারণে অনেক শাখা এবং ব্যাংক ডলার বিনিময় বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। ডলারের ধারাবাহিক সংকট স্থানীয় রুপির ঊর্ধ্বমুখী মান কমিয়ে দিতে পারে, যা গত ২ বছরে ২৫ সেশনে অর্জন হয়েছিলো।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসায়িক চুক্তি, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তদারকিতে সর্বশেষ জুলাইয়ে ডলারের বিপরীতে রুপির মান ১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। পাকিস্তান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ডলার সংকটের কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং আমদানিকারকরা ডলার মজুদ করার ফলে স্থানীয় মুদ্রার ওপর প্রভাব পড়ছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানে গত দুই মাসের বন্যায় ৯৩০ জন মানুষ নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় ২২ লাখ একরেরও বেশি আবাদি জমি তলিয়ে গেছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধানক্ষেত। সামা নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গত বুধবারের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যায় পাকিস্তানের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি বড় ধাক্কা খেয়েছে। শুধু ধানখেতের ক্ষেত্রেই প্রায় ১০ লাখ একর আবাদি ফসল নষ্ট হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।