ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

দিল্লির কাছে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক ও মেডিকেল থেকে একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার

ভিনদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০২:২৭ এএম

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কাছাকাছি স্থান থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং একটি মেডিকেল কলেজ থেকে রাইফেল উদ্ধারের ঘটনায় তোলপাড় চলছে ভারতজুড়ে। সোমবার (১০ নভেম্বর) দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক এবং একটি অ্যাসল্ট রাইফেল উদ্ধার করেছে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের একটি দল। প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীনগরে সশস্ত্র গোষ্ঠী জৈশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার লাগানোর অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর থেকে একজন কাশ্মীরি ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করার কয়েক দিন পর এই বিস্ফোরক ও রাইফেল উদ্ধার করল পুলিশ। সূত্র বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় গ্রেপ্তার চিকিৎসক ডা. আদিল আহমেদ রাথারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ফরিদাবাদে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। মুজাম্মিল শাকিল নামে পরিচিত গ্রেপ্তার হওয়া আরেক চিকিৎসকের কাছে বিস্ফোরক ও অস্ত্র মজুত ছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনডিটিভি। দুই চিকিৎসকই জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার বাসিন্দা এবং ফরিদাবাদের আল-ফালাহ হাসপাতালে কর্মরত। ফরিদাবাদ পুলিশ কমিশনার সতেন্দ্র কুমার গুপ্তা জানান, ৩৫০ কেজি বিস্ফোরকসহ ২০টি টাইমারও উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন এবং একটি ওয়াকিটকি সেটও উদ্ধার করা হয়। বিস্ফোরকগুলো অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত ২৭ অক্টোবর। ওইদিন শ্রীনগরে জৈশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার দেখা যায়। এর পরপরই স্থানীয় পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে করে এবং সিসিটিভি ফুটেজে পোস্টার লাগাতে দেখা যায় চিকিৎসক রাথারকে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত সপ্তাহেই তাকে উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর থেকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাথার গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত অনন্তনাগের সরকারি মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তার লকার তল্লাশি করলে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি যে তথ্য দেন তার ভিত্তিতেই পুলিশ ফরিদাবাদ থেকে বিস্ফোরকগুলো জব্দ করেছে। এর আগে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ অনন্তনাগের সরকারি মেডিকেল কলেজে রাথারের লকার থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল এবং গুলি জব্দ করে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা পুলিশের সমন্বিত অভিযানে উদ্ধার হয় বিস্ফোরক এবং অস্ত্র। রাথারের বিরুদ্ধে আগে অস্ত্র আইন এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, চিকিৎসকের এমন কাজে সম্পৃক্ততা ‘সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলো’ এখন উচ্চশিক্ষিত পেশাদারদের নিয়োগ করছে- সেদিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। পুলিশ সূত্র জানায়, রাজধানীর এত কাছে বিস্ফোরক মজুদ করার পেছনে কী পরিকল্পনা ছিল তা তারা এখনো নিশ্চিত নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। রাজধানীর এত কাছে কোনো বাধা ছাড়ায় কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করা হলো, সে বিষয়টিও খুঁতিয়ে দেখা হচ্ছে।