অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। যদিও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সময়ে ২৭ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে। তবে জুলাই বিপ্লবের আগে অর্থাৎ সরকার পতনের আগের হিসাব ধরা হলে বেড়েছে। সে হিসাবে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২৪ দশমিক ৩২ শতাংশ।
এনবিআরের প্রতিবেদন বলছে, জুলাইয়ে রাজস্ব আদায়ের প্রধান ৩ খাতের মধ্যে কাস্টমস থেকে এসেছে ৯ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। পাশাপাশি ভ্যাট থেকে ১১ হাজার ৩৫২ কোটি এবং আয়কর থেকে ৬ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি ভ্যাট থেকে আদায়ের প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৩২ শতাংশ।
সরকার পতনের আগে গত অর্থবছরের জুলাইয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। সে সময় আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায় ব্যাঘাত হয়েছিল। সে হিসাবে বর্তমান চিত্রে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম আদায় হেেয়ছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা যায়।
খাতভিত্তিক চিত্র:
জুলাই মাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি এসেছে স্থানীয় পর্যায়ের সম্পূরক শুল্ক থেকে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দেড়গুণ বেড়েছে। অন্যদিকে ভ্রমণ কর ও টার্নওভার কর আদায় একেবারেই হয়নি। কাস্টমস শাখা থেকে আহরণ হয়েছে ৯ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। ভ্যাট শাখা থেকে পাওয়া গেছে ১১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। আয়কর শাখা থেকে আদায় হয়েছে ৬ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা।
প্রবৃদ্ধি ও ঘাটতি:
গত অর্থবছরের জুলাই মাসে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ২১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। সেই তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২৪.৩২ শতাংশ। তবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আহরণ ঘাটতি প্রায় ২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা।
এনবিআর কর্মকর্তাদের মতে, আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট আহরণে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক প্রবৃদ্ধি রাজস্ব আদায়কে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে নিয়েছে। অর্থনীতির সামগ্রিক চাপ, শুল্কনীতি পরিবর্তন ও ভোগ কমে যাওয়ার প্রভাব জুলাই মাসের রাজস্ব আদায়ে প্রতিফলিত হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন