চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে ২৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় যা প্রায় ৯ শতাংশ বেশি। অবশ্য আগের মাস জুলাইয়ের তুলনায় সামান্য কম। আর গত ৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। সরকার পতনের পর থেকে রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণে ডলার বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত বাড়ছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২৪৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে অনেক দিন ব্যাংক বন্ধ ছিল। আবার সরকারকে অসহযোগিতার জন্য রেমিট্যান্স না পাঠানোর ডাক দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে ওই মাসে রেমিট্যান্স কমে ১৯১ কোটি ডলারে নেমেছিল।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৯০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি ডলার। এর মানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৬ কোটি ডলার, যা ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈধ চ্যানেলে রেকর্ড ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩৩ কোটি ডলার প্রবাসী আয় দেশে আসে। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা ৬৪১ কোটি ডলার বা ২৬ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি। রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবাহ এবং ভালো রপ্তানি আয়ের কারণে ডলার সংকট কাটিয়ে উঠেছে দেশ। ডলারের দর দীর্ঘদিন ধরে ১২২ টাকার মধ্যে স্থিতিশীল রয়েছে। বরং মাঝে ডলারের দর কমে ১১৯ টাকা ৫০ পয়সায় নেমেছিল। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কেনার কারণে পরে আবার বেড়ে ১২১ টাকার ওপরে উঠেছে।
বিগত সরকারের সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত কমেছিল। তবে রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানিতে উচ্চ প্রবাহের কারণে এখন বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। সরকার পতনের সময় যা ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল ২০২১ সালের আগস্টে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন