আজকের তরুণ প্রজন্মের অনেকেই চাকরির অপেক্ষায় না থেকে নিজে কিছু করতে চান। এটা নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী ও সাহসী সিদ্ধান্ত। তবে শুধু ইচ্ছা থাকলেই হয় না, উদ্যোক্তা হতে হলে প্রয়োজন কিছু মৌলিক মানসিকতা, দক্ষতা ও প্রস্তুতি।
স্বপ্ন দেখুন, কিন্তু বাস্তবতার মাটিতে দাঁড়িয়ে
উদ্যোক্তা হবেন মানেই বড় কিছু করতে হবে এমনটা নয়। ছোট একটি উদ্যোগ দিয়েও শুরু করা যায়। নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও আগ্রহের জায়গা থেকে কী করা সম্ভব, সেটাই আগে বুঝতে হবে। স্বপ্ন থাকুক বড়, কিন্তু পরিকল্পনা হোক হিসেবি।
সমস্যা দেখুন, সমাধান খুঁজুন
সবচেয়ে সফল উদ্যোক্তারা মূলত সমস্যার সমাধান বিক্রি করেন। আপনার চারপাশে এমন অনেক সাধারণ সমস্যা আছে যার সহজ, দক্ষ সমাধান আপনি দিতে পারেন। সেটাই হতে পারে আপনার ব্যবসার শুরু।
স্বল্প পুঁজি, উচ্চ মানসিকতা
প্রথমেই বড় পুঁজি না থাকলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। নিজে কিছু শেখা, ইউটিউব বা বিভিন্ন অনলাইন কোর্স করে দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে শুরু করা যেতে পারে। মূল কথা হচ্ছে কাজ শুরু করা।
ব্যর্থতাকে ভয় নয়, শিখতে হবে
ব্যর্থতা উদ্যোক্তার জীবনের অংশ। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে পারলে তা ভবিষ্যতের বড় সাফল্যের ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়। মনে রাখবেন, প্রতিটি সফল উদ্যোক্তার পেছনে একাধিক ব্যর্থতার গল্প থাকে।
জবাবদিহি ও শৃঙ্খলা
নিজের বস নিজেই হলে স্বাধীনতা যেমন থাকে, তেমনি দায়িত্বও বেড়ে যায়। নিয়মিত কাজের লক্ষ্য নির্ধারণ, সময় ব্যবস্থাপনা, আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখা এই সবকিছুতেই কঠোর হতে হবে।
নেটওয়ার্ক তৈরি করুন
একজন উদ্যোক্তার জন্য যোগাযোগ অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
অন্য উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ুন, সেমিনার, ওয়ার্কশপে অংশ নিন, অনলাইনে সক্রিয় থাকুন। অনেক
দরজা খুলে যেতে পারে একটি
পরিচয়ের সূত্রে।
ধৈর্য ধরুন, আত্মবিশ্বাস রাখুন
নিজের ওপর বিশ্বাস রাখাই উদ্যোক্তার সবচেয়ে বড় শক্তি। শুরুতে লাভ না হলেও, প্রতিকূলতা এলেও স্থির থাকুন। সময় দিন, শিখুন, প্রয়োজনে পথ পরিবর্তন করুন কিন্তু থেমে যাওয়া যাবে না। ‘যদি নিজে কিছু করতে চান’ চিন্তাটিই আপনাকে আলাদা করে। তাই এটাকে গুরুত্ব দিন। উদ্যোক্তা হওয়ার পথটা হয়তো সহজ নয়, কিন্তু নিশ্চিতভাবেই সম্মানজনক ও সম্ভাবনাময়। আত্মবিশ্বাস, অধ্যবসায় ও পরিকল্পনা থাকলে নিজে কিছু করা শুধুই স্বপ্ন নয় বাস্তবতা।
আপনার মতামত লিখুন :