ঢাকা বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

প্রাণ-প্রকৃতির যত্ন নিলেই নিরাপদ হবে ভবিষ্যৎ

বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ

আ ন ম আমিনুর রহমান, পাখি ও বন্যপ্রাণী প্রজনন ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৫, ১১:৪০ পিএম

জীববৈচিত্র্য (Biodiversity) হলো এ পৃথিবীতে বিদ্যমান জীবজগতের বৈচিত্র্য ও তার পরিবর্তনশীলতা। উদ্ভিদ ও প্রাণীসহ অন্য সব জীব আমাদের পরিবেশের অপরিহার্য অঙ্গ। বন্যপ্রাণী বাস্তুতন্ত্র (Wildlife Ecosystem) জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ প্রতিটি প্রজাতি কীভাবে বাস্তুতন্ত্রে ভূমিকা রাখে, কোনো প্রজাতি বিলুপ্ত হলে তার পরিণতি কী হতে পারে এবং কীভাবে বিভিন্ন জীবকে সংরক্ষণ করা যায়, বন্যপ্রাণী বাস্তুতন্ত্র তা-ই আমাদের জানায়। কাজেই আমাদের বেঁচে থাকা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ পরিবেশে বসবাস করা অত্যন্ত জরুরি।


প্রাণী, উদ্ভিদ ও মানুষ সবাই পৃথিবীর পরিবেশগত ভারসাম্যের ওপর নির্ভরশীল। এ ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে উপযুক্ত সংখ্যায় উদ্ভিদ, প্রাণী, এমনকী অনুজীব প্রজাতিগুলোর উপস্থিতিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কোনো কারণে যদি এ ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটে তবে জীববৈচিত্র্য হ্রাস পায়। ফলে বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়, যা বাস্তুতন্ত্রের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অবশ্য এ বিলুপ্তি যদি প্রকৃতির নিজস্ব নিয়মে ঘটে, তা হলে তেমন ক্ষতি হয় না। কিন্তু মানুষ যখন প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে, তখন তা ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। ইতিহাস থেকে দেখা যায়, মানবসৃষ্ট কার্যকলাপের ফলে উদ্ভিদ, প্রাণী ও অনুজীবের বিলুপ্তির হার প্রাকৃতিক হারের তুলনায় প্রায় এক হাজার গুণ বেশি। প্রায় দুই লাখ বছর আগে যখন মানুষ অর্থাৎ হোমো সেপিয়েন্স পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিল, তখন পৃথিবীতে জীববৈচিত্র্যের প্রাচুর্য ছিল সর্বাধিক।

আমাদের অসচেতনতার জন্য হারিয়ে গেছে ময়ূর। ছবি- লেখক।


আকারে ছোট হলেও বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ দেশ। এদেশের বাস্তুতন্ত্রগুলোর মধ্যে স্থলভাগের বনভূমি, পার্বত্যাঞ্চল, উপকূল ও সামুদ্রিক এলাকা, বাদাবন, অভ্যন্তরীণ স্বাদুপানির বাস্তুতন্ত্র ও মানুষসৃষ্ট গৃহভিত্তিক বাস্তুতন্ত্রই প্রধান। এর মধ্যে হাওরাঞ্চল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র, যা জীববৈচিত্র্যের ভা-ার হিসেবে পরিচিত। হাকালুকি হাওর দেশের সবচেয়ে বড় হাওর ও অন্যতম বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ মৎস্যসম্পদ কেন্দ্র। অন্যদিকে, পার্বত্য বাস্তুতন্ত্র দেশের প্রায় ১২ শতাংশ ভূমিজুড়ে বিস্তৃত।
কয়েক দশক আগেও বাংলাদেশ ছিল উদ্ভিদ ও প্রাণীর স্বর্গভূমি। প্রাকৃতিক বনের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ছিল ছোটবড় ঝোপঝাড় ও জঙ্গল। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য, বস্ত্র ও আশ্রয়ের চাহিদাও বহুগুণে বেড়েছে। এ চাহিদা পূরণের জন্য গ্রামীণ বন ও ঝোপঝাড় ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ফলে বন্যপ্রাণী ও পাখি হারিয়েছে তাদের আবাস ও প্রজনন ক্ষেত্র; ফলে তাদের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় ভূমিক্ষয়, পলিবিন্যাস, চিংড়ি চাষ ও কৃষি কার্যক্রমের প্রভাবে জলজপ্রাণীর জন্য বিপজ্জনক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। 

মহাবিপন্ন বাংলা বাঘের সংখ্যা এদেশে মাত্র ১২৫টি। ছবি- লেখক।


বিলুপ্তি ও জীববৈচিত্র্য হ্রাসের পেছনে যে সব কারণ কাজ করে, তারাই হলো চালিকাশক্তি বা ড্রাইভার। প্রত্যক্ষ চালিকাশক্তি বাস্তুতন্ত্রে তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলে, আর পরোক্ষ চালিকাশক্তি এসব প্রভাবের গতি পরিবর্তন করে। জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ সম্পদের তীব্র সংকট, বৃহৎ পরিসরে পরিবেশগত বিপর্যয়, কঠোর পরিবেশগত চাপ, বিদেশি প্রজাতির আগমন এবং ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা। এছাড়া খাদ্যের জন্য বন্যপ্রাণী শিকার, বিনোদন, শৌর্যবীর্য রক্ষার জন্য প্রাণী শিকার, অলঙ্কার বা ওষুধ তৈরির অজুহাতে বন্যপ্রাণী হত্যা আমাদের বন্যপ্রাণীসম্পদকে ধ্বংস করছে। ফলে বহু প্রাণী প্রজাতি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ১১ প্রজাতির বুনো স্তন্যপায়ী প্রাণী বিলুপ্ত বলে রেকর্ডভুক্তÑ যেমন একশৃঙ্গ ও দ্বিশৃঙ্গ গ-ার, বনগরু (সাপিবালি বা বান্টেং), নীলগাই, বুনোমহিষ, জলার হরিণ, বামন শূকর, কৃষ্ণসার, মন্থর ভালুক, ডোরা হায়েনা ও ধূসর নেকড়ে। এছাড়া একটি সরীসৃপ প্রজাতিÑ মিঠাপানির কুমির (যদিও সাম্প্রতিককালে পদ্মা নদীতে দেখা গেছে) এবং তিনটি পাখি প্রজাতি গোলাপি শির, বাংলা ডাহুক ও ময়ূওñ বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

সুন্দরবনে বাঘের থেকেও বেশি ঝুঁকিতে আছে সুন্দরী হাঁস। ছবি- লেখক।


জীববৈচিত্র্য হ্রাস ও বন্যপ্রাণী বিলুপ্তির প্রধান কারণ হলো ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন, দূষণ, বায়ুম-লে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব বৃদ্ধি, নাইট্রোজেন চক্রের পরিবর্তন, অ্যাসিড বৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তন, বিদেশি প্রজাতির অনুপ্রবেশ এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংঘ (IUCN)-এর লাল খাতা বা রেড ডাটা বুক প্রজাতির বিলুপ্তির ঝুঁকি নির্ধারণ করে সংরক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে থাকা বিভিন্ন শ্রেণির বন্যপ্রাণীর মধ্যে স্তন্যপায়ী প্রাণীরাই সবেচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও হুমকির সম্মুখীন। বর্তমানে দেশে প্রাপ্ত ১৩৮ প্রজাতির স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণীর মধ্যে ১৭টি প্রজাতি মহাবিপন্ন (Critically Endangered), ১২টি বিপন্ন (Endangered) এবং ৯টি সংকটাপন্ন (Vulnerable) হিসেবে তালিকাভুক্ত।

এদেশে হাতির সংখ্যাও দিন দিন কমছে। ছবি- লেখক।


মহাবিপন্ন প্রজাতিগুলোর মধ্যে রয়েছে বাঘ (রয়েল বেঙ্গল টাইগার), চিতাবাঘ, মেঘলা চিতা, হাতি, উল্লুক, কাঁকড়াভুক বানর, চশমাপরা হনুমান, কালো ভালুক, সুর ভালুক, ভারতীয় ও চীনা প্রজাতির বনরুই, ছোট ও বড় উদ, গাউর (বনগরু), সাম্বার হরিণ, পারাহরিণ ও হিমালয়ী ডোরা কাঠবিড়ালি। বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে রয়েছেÑ বনছাগল, খাটোলেজি বানর, বড় হনুমান, আসামি বানর, মুখপোড়া হনুমান, মায়া হরিণ, বনকুকুর (রামকুত্তা), মেছোবিড়াল, বুনো খরগোশ, লজ্জাবতী বানর, উড়ন্ত কাঠবিড়ালি ইত্যাদি। আর সংকটাপন্ন প্রজাতিগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ গাঙ্গেয় বা নদীর শুশুক, বানর, খেকশিয়াল, সোনালি বিড়াল, বালুশুয়োর, হলদে-গলা গাছগোকুল, বাঁশভালুক, মুখোশপরা নোঙর, ও বড় কাঠবিড়ালি।

উল্লুক বর্তমানে একটি মহাবিপন্ন প্রাণী। ছবি- লেখক।


বাংলাদেশের শঙ্কাগ্রস্ত পাখিদের অবস্থা আজ গভীর উদ্বেগের কারণ। এক সময় এদেশের আকাশ, নদী, বন আর জলাভূমি ছিল পাখির স্বর্গরাজ্যÑ তাদের কূজন ও ওড়াউড়িতে মুখর থাকত প্রকৃতি। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, বন উজাড়, জলাভূমি ভরাট, কীটনাশকের ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নির্বিচার শিকারের ফলে অসংখ্য পাখি এখন বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংঘের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের  মোট ৭৩১ প্রজাতির পাখির মধ্যে বর্তমানে ১১টি মহাবিপন্ন, ১১টি বিপন্ন ও ১৭টি সংকটাপন্ন হিসেবে তালিকাভুক্ত। এদের আবাসস্থল ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গে বিলীন হচ্ছে আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্যও। তাই এখনই প্রয়োজন পাখির আবাস সংরক্ষণ, শিকার রোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের টিকিয়ে রাখার সর্বাত্মক উদ্যোগ না হলে একদিন এ পাখিদের অস্তিত্ব শুধুই গল্প হয়ে যাবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে।

মহাবিপন্ন কালোভালুক দেখা ভাগ্যের ব্যাপার। ছবি- লেখক।


মহাবিপন্ন প্রজাতির পাখির মধ্যে রয়েছে সুন্দরী হাঁস, বড় ভূতিহাঁস, শকুন, চামচঠুঁটি চাপাখি, তিলা সবুজ চাপাখি, রাঙা মানিকজোড়, চামচঠুঁটি বক, তুলোগলা মানিকজোড়, সাদাটুপি পায়রা, পানিকাটা ও কালোপেট গাঙচিল। বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে রয়েছে শেখ ফরিদ, লোহারজঙ্গ, আদাকাইচে, এশিয় চাহা, ছোট চিত্রা ঈগল, কুড়া ঈগল, বামন মাছরাঙা, কূর্চওয়াল টেকটেকি, লালপাছা টেকটেকি, খয়েরিবুক ছাতারে ও সাদাটুপি ছাতারে। আর সংকটাপন্ন প্রজাতিগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ কাঠময়ূর, মথুরা, ছোট সাদা-কপাল রাজহাঁস, মদনটাক, কালো মানিকজোড়, কালোমাথা কাস্তেচরা, শুক্তিভোজী বাটান, পাহাড়ি ঈগল, লালপেট ঈগল, বড় চিত্রা ঈগল, বৃহৎ বা এশীয় শাহী ঈগল, রাজ ধনেশ, থোরমোচা মাছরাঙা, ল¹র বাজ, ধূসরমাথা টিয়া, হলদে চোখ ছাতারে ও হলদেবুক বঘেরি। 


বন্যপ্রাণী ও পাখির মতোই বহু উদ্ভিদ প্রজাতিও আজ বিলুপ্তির পথে। আগে গ্রামবাংলায় বট, অশ্বত্থ, শিমুল, ছাতিম, কদম ইত্যাদি গাছ প্রচুর দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে অর্থনৈতিক কারণে মানুষ এসব গাছ আর লাগাতে চান না। অথচ এ গাছগুলো ছিল বহু পাখি ও প্রাণীর আশ্রয়, খাদ্য ও প্রজননস্থল। এখন কৃষকরা লাভজনক ফল বা কাঠের গাছ লাগাতে গিয়ে এগুলো কেটে ফেলছেন, ফলে খাদ্য ও আশ্রয়ের অভাবে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।

মাংসের লোভে মারা পড়ছে বিপন্ন বনছাগল। ছবি- লেখক।


বনের প্রাণিকুল দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের জীবনধারা গড়ে তুলেছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তারা শিখে নিয়েছে কোন ফল বা পাতা তাদের খাদ্য, কোথায় বাসা বাঁধা নিরাপদ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু মানুষ যখন হঠাৎ তাদের আবাসভূমি পরিবর্তন করে, তখন কিন্তু বহু বন্যপ্রাণী তাতে অভিযোজিত হতে পারে নাÑ ফলে বিলুপ্তির ঝুঁকি বাড়ে। যদি এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে এবং প্রতিরোধ না করা যায়, তা হলে ভবিষ্যতে এ বিলুপ্তি ভয়াবহ রূপ নেবে।


এ অবস্থা মোকাবিলায় অতি দ্রুত জলজ ও স্থলজ বাস্তুতন্ত্রের ওপর বিস্তৃত গবেষণা ও সমীক্ষা শুরু করতে হবে। প্রয়োজন হবে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর পরিবেশগত আন্তঃসম্পর্ক নিয়ে গভীর গবেষণা। কারণ তারা একে অপরের সঙ্গে একটি জটিল খাদ্যশৃঙ্খলে আবদ্ধ। কোনো একটি প্রজাতির অনুপস্থিতি অনেক জীবের জীবনচক্রকে প্রভাবিত করে। আমরা খাদ্য, বস্ত্র, ওষুধÑ সবকিছুর জন্যই কমবেশি এসব উদ্ভিদ ও প্রাণীর ওপর নির্ভরশীল। তাই ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ রক্ষার জন্য এগুলো সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান থাকা অপরিহার্য।
জীববৈচিত্র্য ধ্বংস আজ বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ, কিন্তু এ প্রবণতারোধে বাস্তব পদক্ষেপ অনেক ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত। এর কারণ হলোÑ বিশ্বের অর্ধেক মানুষ এখন শহরে বাস করে, প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই যেখানে মানুষ বসবাস ও কাজ করে, সেখানে প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রতি জনসমর্থন গড়ে ওঠে।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের আন্দোলন জোরদার হচ্ছে, যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলোÑ আমরা কি সত্যিই ‘পরিবেশ’, ‘ৎীববৈচিত্র্য’, ‘বন্যপ্রাণীর বিলুপ্তি’ ও ‘বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য’ শব্দগুলোর প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারছি? সাধারণ মানুষ কতটা সচেতন পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে?
শুধু সরকার নয়, বেসরকারি সংস্থা ও সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে যাতে আমাদের পরিবেশ, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা পায়। কারণ প্রকৃতি ও প্রাণীর প্রতি আমরা যতটা যতœশীল হব, ততটাই নিরাপদ হবে আমাদের ভবিষ্যৎ।

যোগাযোগ :
অধ্যাপক ড. আ ন ম আমিনুর রহমান
বন্যপ্রাণী প্রজনন ও সংরক্ষণ ল্যাবরেটরি
ও বিভাগীয় প্রধান
গাইনিকোলজি, অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ বিভাগ
গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সালনা, গাজীপুর-১৭০৬।
E-mail : aminoor69@gau.edu.bd, aminoor69@yahoo.com