ঢাকা শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫

নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা হলেই চাপমুক্ত হবে সরকার: ড. শামসুল আলম 

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৫, ০১:৫২ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ড. শামসুল আলম।  ছবি- সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার চাপে পড়ার জন্য বেশ কিছু বিষয় লক্ষণীয়। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণের পর জনগণের প্রধান আশা ছিল গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কার করবেন তিনি। বিশেষ করে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কমিশন ও নির্বাচনি ব্যবস্থাসহ বিচার বিভাগ সংস্কার করে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন। তবে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মূল সেই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আমি বলতে পারি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করবে বর্তমান সরকারের ওপর চাপ এবং চলমান সংকটময় অবস্থা থেকে ততদ্রুত উত্তরণ পাবে। এর ব্যতয় ঘটলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো নতুন সংকট সৃষ্টি হবে।

পরিস্থিতি জটিল থেকে আরো জটিলতর হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের দেশ এবং দেশের বাইরে যথেষ্ঠ সুনাম রয়েছে, সেটি সমুন্নত রাখতে হলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা উচিত। অন্যথায় তার ইমেজ-সংকট দেখা দেবে।

বলাবাহুল্য, প্রধান উপদেষ্টার আশপাশে যারা কাজ করছেন, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য দৃশ্যমান হয়েছে। তাদের কেউ নির্বাচন দ্রুত সময়ের মধ্যে চান, আবার কেউ নির্বাচনের সময় নিয়ে ধোঁয়শা সৃষ্টি করছে। যে বিষয়টি সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক বিশ্লষকদের মধ্যেও একধরণের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছে। বিষয়গুলো অনুধাবন করলে স্পষ্টভাবে বলা যায়, দেশের বর্তমান সংকট অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করা। এটি ঘোষণা করলে সরকার নিরপেক্ষতা যেমন স্পষ্ট হবে একইসঙ্গে, যে চাপের মুখে রয়েছে তারা সেটি কমবে।

যার মাধ্যমে, ড. উইনূসের দেশ-বিদেশে সুনাম আরও বৃদ্ধি পাবে। দেশ ও জাতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। যখন রোডম্যাপ ঘোষণা করবে সরকার। সব রাজনৈতিক দল একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলের মধ্যে প্রবেশ করবে এবং নির্বাচনের লক্ষ্যে তারা কাজ শুরু করবে।

তবে, এটি কোন কোন মহল চাইছে না, তারা বিভ্রান্তিমুলক অবস্থা সৃষ্টির মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে দেশে ফ্যাসিস্ট শক্তিকে আবারও ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। যেটি কোনো অবস্থায় কারো কাম্য নয়।


লেখক : ডিন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।