ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫

ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড এখনো শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কবজায়

শহিদুল ইসলাম রাজী
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৫, ০৬:১৭ এএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকার অপরাধ জগতের দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড মোল্লা মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে অন্য শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। তাদের কেউ কারাগারে, কেউ কেউ দীর্ঘকাল ধরেই বিদেশে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করছে ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড। এই নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের সহযোগীরা প্রতিপক্ষের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে বিরোধে, ঘটছে খুনখারাবিসহ নানা অপরাধ।

এদের অনেকের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। কারাগারে এবং দেশে-বিদেশে আত্মগোপনে থাকা সন্ত্রাসীরা এলাকাভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার ও নির্মাণাধীন ভবনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অস্ত্রধারী অনুসারীদের চাঁদাবাজি করছে। এসব চিহ্নিত অপরাধীকে গ্রেপ্তারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সম্প্রতি চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরে রাজধানীর বাড্ডায় বিএনপি নেতা কামরুল আহসান সাধনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর একে একে কারাগার থেকে মুক্তি পায় ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, আব্বাস হোসেন ওরফে কিলার আব্বাস, সানজিদুল ইসলাম ইমন, ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন, খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু, ফ্রিডম সোহেল ও হাবিবুর রহমান তাজসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী। শেখ হাসিনার পতনের পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরও কেউ কেউ দেশে ফিরে আসে।

এ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সীমান্তের ওপারে আশ্রয় নেওয়া কয়েকজন বাংলাদেশি সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দিয়েছে ভারত। তারা এখন দেশে ফিরে এসে জোটবদ্ধ হয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় নৈরাজ্য চালাচ্ছে। তাদের অনুগত চক্র রাজধানীতে চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে যুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হলে এসব অপরাধ কমে আসবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর জামিনে মুক্তি পাওয়া আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। জামিন পাওয়ার কিছুদিন পরেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন পুরস্কারঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজেদুল ইসলাম ইমন ও কিলার আব্বাস। ইমন এখন মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন এবং কিলার আব্বাস দুবাইতে অবস্থান করছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, জায়গা-জমি-বাড়ি দখল, কেব্ল টিভি ও ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করেই মূলত বিরোধে জড়ান শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। তারা কারাগারে বা বিদেশে অবস্থান করলেও তাদের স্থানীয় সহযোগীরা এখনো সক্রিয়। ওই সহযোগীদের নির্দেশনা দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের বাইরে পালিয়ে থাকা শীর্ষ সন্ত্রাসীরা তাদের গ্রুপের সদস্যদের মাধ্যমে এখনো রাজধানীতে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। এদের কয়েকজনের নাম জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা হলোÑ বিদ্যুৎ, কাওসার, জামাই শাহিন, রানা, ময়না, ফিরোজ, নান্টু, ভাগিনা জুয়েল, গালকাটা বিল্লাল, সুইপার মুন্না, মানিক, মাহবুব, রুমেল, মাহমুদ, আজিজ, মাতুয়াইলের তুহিন প্রমুখ। এরা মূলত ঈদকেন্দ্রিক চাঁদাবাজিতে বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ ছাড়াও দরপত্র ব্যবসায়ও তাদের প্রভাব লক্ষ করা যায়। কোনো প্রতিষ্ঠানে দরপত্র জমা পড়লে তার পেছনে থাকে দেশি-বিদেশি অপরাধী চক্রের নেটওয়ার্ক।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাড্ডায় বিএনপি নেতা কামরুল আহসান সাধনকে গুলি করে হত্যার নেপথ্যে অধিপত্য ও চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ। গুলশান-বারিধারা এলাকায় গড়ে উঠেছে আবাসন, পোশাক কারখানাসহ নানা ধরনের ব্যবসা। ফলে ব্যবসাবান্ধব এলাকার আড়ালে সক্রিয় রয়েছে অন্তত তিনটি অপরাধী চক্রÑ জিসান গ্রুপ, মেহেদী গ্রুপ ও রবিন-ডালিম-মাহবুব গ্রুপ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদের সদস্য সংখ্যা অন্তত অর্ধশত। এদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই মামলা রয়েছে। তাদের মূল কাজ চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল। ভাড়ায় মানুষ খুন করে এসব চক্রের সদস্যরা। যাদের মধ্যে জিসান দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন। তিনি দুবাই থেকে নিজের চক্র পরিচালনা করছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এছাড়া মেহেদী গ্রুপের মেহেদী থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। আর রবিন-ডালিম-মাহবুব গ্রুপের রবিন, ডালিম ও মাহবুব থাকেন মালয়েশিয়ায়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এসব সন্ত্রাসীরা যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের সঙ্গে মিলেমিশে চাঁদাবাজি করেন। এসব অবৈধ টাকার ভাগ যায় রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে। তাই খুনের ঘটনা বন্ধ হয় না। আবার রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও প্রতিপক্ষের কাউকে হত্যা করতে এদের কাজে লাগিয়ে থাকেন।

শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কে কোথায়

জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে সুইডেন আসলাম, যোশেফ, বিকাশ ও প্রকাশকে ধরতে ৫০ হাজার টাকা করে প্রথম পুরস্কার ঘোষণা করে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০০১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর একটি তালিকা প্রকাশ করে। এদের ধরিয়ে দিতে ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।

শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় যাদের নাম ছিল, তারা হলো কালা জাহাঙ্গীর, মোল্লা মাসুদ, পিচ্চি হান্নান, সুব্রত বাইন, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, আমিনুর রসুল সাগর ওরফে টোকাই সাগর, হারিস আহমেদ, খোরশেদ আলম রাসু, পিচ্চি হেলাল, আলাউদ্দিন, কামাল পাশা, নাঈম আহমেদ টিটন, লিয়াকত, আরমান, জাফর আহমেদ মানিক, খন্দকার তানভীরুল ইসলাম জয়, ইমাম হোসেন ওরফে ফ্রিডম ইমাম, ফ্রিডম সোহেল, মো. আব্বাস আলী ওরফে কিলার আব্বাস, ভিপি হান্নান, শামীম ওরফে আগা শামীম, মশিউর রহমান ও আবদুল জব্বার মুন্না।

এদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে কিলার আব্বাস, পিচ্চি হেলাল, রাসু, টিটন, আরমান, বিকাশ, মশিউর রহমান কচি ও লিয়াকত গ্রেপ্তার হয়। তালিকার মধ্যে পিচ্চি হান্নান র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন। আলাউদ্দিন তেজগাঁও বেগুনবাড়ি খালে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনার পর জনতার গণপিটুনিতে নিহত হন।

লিয়াকত ২০০৭ সালে ছাড়া পাওয়ার পর ২০০৮ সালে লালমাটিয়ার বাসা থেকে কে বা কারা ধরে নিয়ে যায়। এরপর আর খোঁজ মিলেনি। ২০০৪ সালে কাফরুলের শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীর আদাবর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। ২০২৪ সালের ১৫ এপ্রিল মালয়েশিয়ায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে তানভীরুল ইসলাম জয় মারা যান। বাকিদের মধ্যে টোকাই সাগর আমেরিকায় পালিয়ে যায়।

প্রকাশ, সুব্রত বাইন, জয়, ইমাম, ফ্রিডম মানিক, মোল্লা মাসুদ ও ভিপি হান্নান ভারতে আত্মগোপন করে। এছাড়া জিসান আত্মগোপন করেন দুবাইয়ে। এদিকে, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে ২০১২ সালে বিকাশ জামিনে মুক্তি পেয়ে লাপাত্তা হন। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পর শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর পিচ্চি হেলাল, রাসু, ফ্রিডম সোহেল, মশিউর রহমান কচি, টিটন ও কিলার আব্বাস জামিনের মুক্তি পান।

তেইশ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে মগবাজারের আরমান ও খিলগাঁওয়ের কামাল পাশা কারাবন্দি রয়েছেন।
গত বছরের ১৫ আগস্ট ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন মুক্তি পান।

জানা গেছে, চাঁদার দাবিতে এলিফ্যান্ট রোডের ব্যবসায়ী এহতেশামুল হকের ওপর হামলার তিন দিন আগেই সানজিদুল ইসলাম ইমন মালয়েশিয়ায় পালিয়ে গেছে। ছদ্মনাম, ঠিকানায় পাসপোর্ট করে দেশ ছেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই দেশে ইমনের স্ত্রী খন্দকার শাহনাজ পারভীন লিনা বসবাস করে।

লিনা আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী টিটনের ছোট বোন। মালয়েশিয়া থেকেই তার গ্রুপের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ করছে ইমন। কিলার আব্বাসও দুবাই পালিয়ে গেছে। সেও ছদ্মনাম ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। 
এছাড়া শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ ও তার ভাই প্রকাশ বর্তমানে ফ্রান্সে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে, ল্যাংড়া তাজগীর ও হারিছ চৌধুরী রয়েছে মালয়েশিয়ায়। সন্ত্রাসী তানভীরুল ইসলাম জয় রয়েছে থাইল্যান্ডে, কারওয়ান বাজারের আশিক, মশিউর রহমান কচি ও গলাকাটা নাছির অবস্থান করছে ইউরোপে।

গত বছরের ১৩ আগস্ট কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি জেল থেকে জামিনে মুক্তি পায় শীর্ষ সন্ত্রাসী টিটন। টিটনকে ২০০৪ সালে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় টিটন ছিল ২ নম্বরে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাবর এলাহী হত্যা মামলায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। টিটন জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর লাপাত্তা হয়ে গেছে।

গত বছরের ১২ আগস্ট মুক্তি পায় ফ্রিডম রাসু। ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় তার অবস্থান ছিল ৬ নম্বরে। রাসুর বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। সব মামলায় জামিন পায় রাসু। জামিনের পর রাসুর অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। গত ১৬ আগস্ট কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পায় পিচ্চি হেলাল। ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ২০০১ সালের ২৬ ডিসেম্বর পিচ্চি হেলালকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলাসহ আটটি মামলা রয়েছে। ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় পিচ্চি হেলাল ছিল ১৬ নম্বরে। জামিনে মুক্তির পিচ্ছি হেলাল মালয়েশিয়ায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। 

গত বছরের ১৩ আগস্ট সোমবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পায় রাজধানীর আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্বাস আলী ওরফে কিলার আব্বাস। ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সামনে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার পর এই শীর্ষ সন্ত্রাসী আলোচনায় আসে। এ ছাড়া কাফরুলের কচুক্ষেতে আরও এক ব্যবসায়ীকে গুলি করার অভিযোগে তার নামে মামলা হয়।

২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। সেই থেকে কাশিমপুর কারাগারের হাই সিকিউরিটি সেলে বন্দি ছিল আব্বাস। প্রায় ২১ বছর কারাবন্দি থাকার পর কিলার আব্বাস মুক্তি পায়। শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর তালিকার ১০ নম্বরে আছে কিলার আব্বাসের নাম। কিলার আব্বাস দেশে নেই বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। অপর একটি সূত্র জানায়, কিলার আব্বাস মুক্তি পাওয়ার পরপরই দেশ ছেড়ে দুবাইতে অবস্থান করছে।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পায়  সুইডেন আসলাম। ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকার ২০ নম্বরে ছিল আসলামের নাম। ১৯৮৬ সালে কিশোর শাকিলকে গুলি করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। পরে সে সুইডেনে চলে যায়।

এরপর দেশে ফিরে এলে তার নামের সঙ্গে সুইডেন যুক্ত হয়। ১৯৯৭ সালের ২৩ মার্চ তেজগাঁওয়ে যুবলীগ নেতা গালিব খুন হন। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় আসলাম আসামি ছিল আসলাম। জামিন পেয়ে দেশেই রয়েছে সুইডেন আসলাম। ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, সুইডেন আসলাম দেশেই আছে। তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।