বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৫, ০৭:৪৩ এএম

মব সৃষ্টি করে বিএনপি নেত্রীর  বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট দখলের চেষ্টা 

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৫, ০৭:৪৩ এএম

মব সৃষ্টি করে বিএনপি নেত্রীর  বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট দখলের চেষ্টা ।      ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মব সৃষ্টি করে বিএনপি নেত্রীর  বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট দখলের চেষ্টা । ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

মব সৃষ্টি করে সাবেক স্বামীর ফ্ল্যাট দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ মহিলা দলের সহসভাপতি ও ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আলোচিত নেত্রী জেবা আমিন খানের বিরুদ্ধে। তার নেতৃত্বে বহিরাগত দুর্বৃত্ত ও হিজড়াদের নিয়ে সাবেক স্বামী ক্যাপিটাল্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাররম হোসেইন খান ও তার মেয়ে মাহিরা হোসেইন খানের ফ্ল্যাটে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়।

গৃহকর্মীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী। এ সময় ফ্ল্যাট দুটিতে ছিলেন না মোকাররম হোসেইন ও তার পরিবার। তারা বিদেশে থাকার সুযোগে দখলের উদ্দেশ্যে হামলা-ভাঙচুর চালাতে যান জেবা আমিন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

হামলা-ভাঙচুরের সময় স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট হয়েছে। পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করায় এ ঘটনায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মাহিরা। অভিযোগটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগীরা।

তাদের অভিযোগ, বাসার নিচে সবসময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা অবস্থান করে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। ফলে তারা জীবন নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশ জেবা আমিনের হয়ে কাজ করছে। জেবা তার লোকজন নিয়ে আমাদের ফ্ল্যাটে হামলা-ভাঙচুর করে যা পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণে আনে। অথচ পুলিশ আমাদের কোনো অভিযোগ পর্যন্ত নেয়নি। ঘটনার সময় আমরা দেশে ছিলাম না। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জুন রাতে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা ঢাকার বারিধারা কূটনৈতিক জোনের ২ নম্বর ইউএন রোডের ৬ তলা একটি বাড়িতে দুটি ফ্ল্যাটে পরিকল্পিত হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। ওই ভবনের ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটে বাস করেন অভিযুক্তের প্রাক্তন স্বামী ক্যাপিটাল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাররম হোসেইন খান। এ ছাড়া অন্যটিতে ৪০১ নম্বর ফ্ল্যাটে বাস করেন মোকাররম হোসেইনের মেয়ে ক্যাপিটাল্যান্ডের নির্বাহী পরিচালক মাহিরা হোসেইন খান।

জানা গেছে, মোকাররম হোসেইন স্ত্রী জাহান সুলতানা ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ব্যাবসায়িক কাজে কানাডায় ছিলেন। তাদের দেশের বাইরে থাকার সুযোগ নিয়ে জেবা আমিন বেশ কয়েকজন হিজড়াসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের একটি দল নিয়ে যুবদলের নেতাকর্মী পরিচয়ে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে প্রথমেই সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। পরে ওই ভবনের দুটি ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। গৃহকর্মীদের মারধর করে জিম্মি করে রাখে।

এরপর তারা দুই ফ্ল্যাটেই ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে মূল্যবান ১৪টি বিদেশি ব্র্যান্ডের রোলেক্স ও ওমেগা ঘড়ি, ডায়মন্ড সেট, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ আনুমানিক প্রায় ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। জেবা আমিনের সঙ্গে থাকা বিএনপির নেতা পরিচয় দেওয়া লোকজন মাহিরা হোসেইন খানের বাসায় থাকা গৃহকর্মীদের শ্লীলতাহানি ও মারধরের পাশাপাশি নিরাপত্তাকর্মীদেরও মারধর করে আহত করে। পরবর্তীতে অন্য কর্মচারীরা জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ রয়েছে রূপালী বাংলাদেশের কাছে। সেই সিসিটিভি ফুটেজে জেবা আমিনা ও তার সঙ্গে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় প্রবেশের দৃশ্য দেখা গেছে। এ ছাড়া পুলিশের ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে জেবা আমিনা খান নিজেই ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, ওই বাড়ির ফ্ল্যাট-৫০১ এ মেয়ে নিয়ে বাস করেন জেবা। ওই ফ্ল্যাট নিয়েও মোকাররমের সঙ্গে জেবার সিভিল মিসসেলিনিয়াস পিটিশন মামলা চলমান। যার নম্বর-২০৬/২০২০। যাতে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশন ২০২০ সালের ৪ মার্চ স্থিতাবস্থা প্রদান করেন। এ ছাড়াও অভিযুক্তের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফ্ল্যাটে হামলার ঘটনার দুই দিন আগে বাসার নিচে পার্কিংয়ে থাকা ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত গাড়ির ছবি তুলে নেন জেবা।

ওই রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মোকাররমের বাসার গৃহকর্মী নুপুর বেগম জানান, প্রথমে একজন পুরুষ ও তিনজন মহিলা বাসায় ঢুকেই আমাদের মোবাইল নিয়ে নেয়। তারপর আমরা চিল্লাচিল্লি করলে, আরও অনেক লোকজন বাসার মধ্যে ঢুকে যায়। আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গলা টিপে ধরে, মারধর করে। আমাদের কাছে চাবি না পেয়ে অনেক মারধর করে। পরবর্তীতে স্যারের রুম ভেঙে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় আমাদের দুজন গৃহকর্মীকেও নিয়ে যায়। পরের দিন তাদের ফেরত আনা হয়। শুধু মারধরই নয়, বাজে ভাষায় গালাগালও করেছে বলে অভিযোগ করেন নুপুর বেগম।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ মে মাহিরা এবং ৩ জুন মোকাররম ব্যাবসায়িক কাজে পরিবারসহ কানাডায় যান। ঘটনার রাতে জেবার নেতৃত্বে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা বাড়ির সিকিউরিটি গার্ডদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে ভয়ভীতি দেখিয়ে মূল ফটকের তালা খুলে সিকিউরিটি গার্ডসহ অন্যদের জিম্মি করে ভবনের সিসি ক্যামেরা ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন।

এরপর ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। ওই সময়ে বাসায় থাকা তিন গৃহকর্মী শিমু আক্তার, নুপুর বেগম ও আছিয়া বেগম, ইলেকট্রিশিয়ান সোহেল রানা এবং ডগকীপার বাদলকে বেদড়ক মারধর করে জখম করে এবং মামলার ২ নম্বর আসামি গৃহকর্মীদের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে। তাদের জিম্মি করে বাসায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এতে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকাসহ প্রায় ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর জোরপূর্বক ৪০১ নম্বর ফ্ল্যাটের চাবি নিয়ে ওই বাসায়ও লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়।

হামলা-ভাঙচুরের সময় বাসার গৃহকর্মীদের ফোন নিয়ে নেয় জেবার লোকজন অভিযোগ করে ক্যাপিটাল্যান্ডের কোম্পানি সেক্রেটারি হোসনে আরা জানান, ওইদিন রাত ১০টার দিকে বাসার গৃহকর্মীদের কাউকে ফোন করে না পেয়ে তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে অন্য লোক মারফত ফ্ল্যাটে ভাঙচুর ও হামলার খবর পান। এরপর উপায়ান্তর না দেখে জরুরি সেবায় ফোন করেন ইসমাঈল নামে একজন। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা কোনো অভিযুক্তকে আটক না করে বরং দুটি ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ করে চাবি নিয়ে চলে যায়। এতে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। এরপর ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটের চাবি দিয়ে দেওয়া হলেও পুলিশ এখনো ৪০১ নম্বর ফ্ল্যাটের চাবি দেয়নি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পর বেশ কয়েকবার থানায় গেলেও অদৃশ্য কারণে মামলা গ্রহণ করেনি পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী কারা? ভুক্তভোগী তো এখানে দুই পক্ষই। ভুক্তভোগী বলতে, আপনি কাকে ট্রেস করছেন। এরপর বিস্তারিত তুলে ধরে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি আপনার সঙ্গে বিস্তারিত সাক্ষাতে কথা বলব, ফোনে নয়।

৪০১ ফ্ল্যাটের চাবি কি আপনাদের কাছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ওনারাই থানা হেফাজতে রাখছেন। ওনাদের লিখিত আছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হামলা-ভাঙচুরের খবর পেয়ে কানাডা থেকে গত ২৯ জুলাই মোকাররমের স্ত্রী জাহান সুলতানা ও মেয়ে মাহিরা দেশে আসেন। কিন্তু ৪০১ ফ্ল্যাটের চাবি মাহিরার কাছে না থাকায় তিনি ফ্ল্যাটে উঠতে পারছেন না। এ ছাড়া কি পরিমাণ লুটপাট হয়েছে তাও সঠিকভাবে বলতে পারছেন না তারা। এ ছাড়া জাহান সুলতানা তার সন্তানদের নিয়ে ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটে উঠলেও প্রতিনিয়ত জীবন শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তিনি।

ভুক্তভোগী জাহান সুলতানা বলেন, খবর পেয়ে আমি আমার মেয়ে মাহিরা দেশে চলে আসি এবং আত্মীয়ের বাসায় ওঠি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর কাছে সমস্যার কথা জানালে তারা আমাদের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে। তখন জেবাকে সেনাবাহিনীর অফিসার জিজ্ঞাসা করেন, কেন আপনি এমন করছেন? নিচে কেন লোকজন বসিয়ে রাখছেন?

উত্তরে জেবা বলেন, আমার সিকিউরিটির জন্য। তখন আমি বললাম যে, আমাদের তো সিকিউরিটি গার্ড আছে। তাহলে উনি কেন এসব লোক রাখবে। এরা তো সিকিউরিটি গার্ড না, এরা যুবদলের লোকজন।

তখন তাকে সেনাবাহিনীর অফিসার বলেন, তাহলে আপনি গার্ড নিয়ে আসেন। এসব লোক এখানে রাইখেন না। দিনে দু’জন, রাতে দু’জন করে রাখেন। সেনাবাহিনী যাওয়ার সাথে সাথেই দশজন লোক এসে বাসার নিচে বসে গেল।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার গৃহকর্মীদের মারধর করছে, বাসায় ভাঙচুর করে মালামাল লুট করেছে। ভয়ে ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখি। এভাবে তো একটা লাইফ চলতে পারে না। তিনি বলেন, যুবদলের লোকজন আসছে-যাচ্ছে। আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এর একটি সুষ্ঠু সমাধান চান ভুক্তভোগী জাহান সুলতানা।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অথচ আমরা তখন দেশেই ছিলাম না। আমাদের দুইটা ফ্ল্যাটে মব সৃষ্টি করে হামলা-ভাঙচুর ও মালামাল লুট করা হলো কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো অভিযোগ বা জিডি গ্রহণ করেনি। থানা পুলিশ সম্পূর্ণ জেবার হয়ে কাজ করছে।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে আইনগতভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় মোকাররম হোসেন খান ও জেবা আমিন খানের। বিচ্ছেদের পর থেকেই জেবা আমিন তার সাবেক পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এবার সরাসরি ফ্ল্যাট দখলের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটেছে পড়েছেন এলাকাবাসী ও পরিচিতজনরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগীর ঘনিষ্ঠ সূত্র আরও জানিয়েছে, তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তাদের মহাসচিবের কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন।

এ বিষয়ে জানতে জেবা আমিন খানকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কিংবা অসদাচরণ করলে কেউ রেহাই পাবে না। দলের সবাইকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেউ অপরাধ করলে এবং তা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে আপনি যে ঘটনাটি বলেছেন, সে বিষয়ে দল থেকে খোঁজখবর নেওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে অনৈতিক, অবৈধ, সন্ত্রাসী, সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড করলে কেউ রেহাই পাবে না। আমরা দলের পক্ষ থেকে সব অপরাধের বিরুদ্ধে কাজ করছি।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!