সুদানে আরএসএফের হামলায় অন্তত ৩০০ জন বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। দেশটির উত্তর কর্দোফান রাজ্যের শুরু হওয়া নতুন সহিংসতায় বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালিয়ে ও আগুন ধরিয়ে তাদের হত্যা করা হয়।
মানবাধিকার সংগঠন ‘ইমার্জেন্সি লয়ার্স’ জানিয়েছে, আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) বারা শহরের আশপাশের গ্রামগুলোতে সমন্বিত আক্রমণ চালিয়েছে। এলাকাগুলো বর্তমানে আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
শুধুমাত্র শাগ আলনম গ্রামেই ২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কেউ কেউ গুলিতে নিহত হয়েছেন, আবার অনেককে বাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পার্শ্ববর্তী গ্রামের লুটপাট ও হামলার ঘটনায় আরও ৩৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ওই গ্রামের বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
গত রোববার হিলাত হামিদ গ্রামে চালানো আরেক দফা হামলায় ৪৬ জন নিহত হন, এদের মধ্যে গর্ভবতী নারী ও শিশুও রয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া সুদানের গৃহযুদ্ধে আরএসএফ এবং জাতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ক্রমাহত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
উত্তর কর্দোফান অঞ্চলটি এখন এই গৃহযুদ্ধের অন্যতম প্রধান যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা এরই মধ্যে লাখ লাখ মানুষের জীবনে বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
জাতিসংঘ ও মানবিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, সুদানে চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এদিকে খাদ্য, পানি, ওষুধের অভাবে এসব এলাকাজুড়ে তীব্র মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :