ঢাকা রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫

সাক্ষাৎকার

এনআরবি ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠানো নিরাপদ মনে করেন প্রবাসীরা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ১০:৫২ এএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

প্রশ্ন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা চলতি অর্থবছরে রেকর্ড রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। রেমিট্যান্সের এ বাজারে এনআরবি ব্যাংক পিএলসির অংশীদারত্ব কেমন ছিল?

উত্তর: বাংলাদেশিরা চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ইউএস ডলার  ২৪ হাজার ৫৩৬.৭২ মিলিয়ন (জুলাই ২০২৪-এপ্রিল ২০২৫), এনআরবি ব্যাংক ১৭২ মিলিয়ন, মোট রেমিট্যান্সের ০.০০৭ শতাংশ

প্রশ্ন: রেমিট্যান্স আয় বাড়ানোর জন্য আপনাদের পরিকল্পনা কী?

বিদেশে এজেন্ট নেটওয়ার্ক ও ডিলার বৃদ্ধি, ব্যাংকের নিজস্ব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা ডেস্ক স্থাপন, প্রবাসীদের মধ্যে প্রচার ও সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রবাসী টার্গেট করে স্থানীয় ভাষায় বা বাংলায় ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালানো। আকর্ষণীয় এক্সচেঞ্জ রেট ও ইনসেন্টিভ প্যাকেজ, সরকারি ২.৫ শতাংশ ইনসেন্টিভের পাশাপাশি ব্যাংকের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ক্যাশ ব্যাক/পুরস্কার/লটারি চালু করা, নিয়মিত ‘রেমিট্যান্স প্রেরণ প্রতিযোগিতা’ বা ‘স্মার্ট রেমিটার’ রিওয়ার্ড, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও সহজ রেমিট্যান্স চ্যানেল, মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজে রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা, এমটিওদের সঙ্গে রিয়েল-টাইম অচও ইন্টিগ্রেশন, গ্রাহকসেবা উন্নয়ন ও বিশেষ হেল্পলাইন চালু রেমিট্যান্স-সংক্রান্ত ২৪/৭ হেল্পলাইন (বিশেষ করে বিদেশি টাইম জোন অনুযায়ী), প্রবাসীদের জন্য ডেডিকেটেড কাস্টমার রিলেশনশিপ অফিসার, গ্রাহকের পরিবারের জন্য ডেবিট কার্ড, হেলথ ইন্স্যুরেন্স, শিক্ষাবৃত্তি বা রেমিট্যান্স সঞ্চয়ী হিসাব চালু, স্বল্পমেয়াদি ঋণ ও অন্যান্য প্রোডাক্ট অফার করা, যা শুধু রেমিট্যান্স গ্রাহকদের জন্য প্রযোজ্য ও উন্নয়ন মেলায় অংশগ্রহণ, প্রবাসী কল্যাণ বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। 

প্রশ্ন: কোন কোন দেশের প্রবাসীরা আপনাদের ব্যাংকের মাধ্যমে বেশি রেমিট্যান্স পাঠান?
উত্তর: যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কুয়েত ও বাহারাইন। 

প্রশ্ন: প্রবাসীদের জন্য আপনার ব্যাংকে কী ধরনের আমানত ও ঋণ প্রডাক্ট রয়েছে?

উত্তর: আমানত প্রডাক্টের মধ্যে রয়েছে-এনআরবি রাইজিং অ্যাকাউন্ট, আরএফসিডি, এনএফসিডি, মাই ডিপিএস, এনআরবি অ্যাসিউর, হরিজন। এ ছাড়া ঋণ প্রডাক্টের মধ্যে রয়েছে-পার্সোনাল লোন ফর ওয়েজ আর্নার ও এনআরবি মাই হোম (মর্টগেজ প্রোডাক্ট ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশিজ)। 

প্রশ্ন: কেন আপনাদের ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীরা বেশি নিরাপদ মনে করবেন?

উত্তর: নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য লেনদেন, আন্তর্জাতিক মানসম্মত সিকিউরিটি সিস্টেম ও এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, প্রতিটি লেনদেন ট্র্যাকযোগ্য এবং অডিটযোগ্য, সরকার অনুমোদিত ও রেগুলেটেড ব্যাংক, দ্রæত টাকা হস্তান্তর ও সেবা, ২৪/৭ গ্রাহক সাপোর্ট সেবা, প্রতিযোগিতামূলক এক্সচেঞ্জ রেট ও ইনসেন্টিভ ২.৫%, সারা দেশে বিস্তৃত শাখা ও এজেন্ট নেটওয়ার্ক, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গেও সংযুক্ত, বিশ্বস্ততা ও দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। 

প্রশ্ন: প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে সরকার কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে কী ধরনের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন?

উত্তর: হুন্ডি ব্যবসার বিরুদ্ধে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করে নিয়মিত অভিযান ও মানি লন্ডারিং আইনের কঠোর প্রয়োগ ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো, বিদেশে ব্যাংকিং ও রেমিট্যান্স চ্যানেল বিস্তৃত করা, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে আরও বেশি এক্সচেঞ্জ হাউস ও করেসপন্ডেন্ট ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা, নিজস্ব ‘রেমিট্যান্স অ্যাপ’ চালু বা জনপ্রিয় এমটিওদের সঙ্গে চুক্তি (যেমন: ডবংঃবৎহ টহরড়হ, জরধ, গড়হবুএৎধস) করা উচিত।

একই সঙ্গে বিদেশগামী কর্মীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া, যারা বৈধ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, তাদের পরিবারকে স্বাস্থ্য কার্ড, সাশ্রয়ী হাউজিং ঋণ, শিক্ষা বৃত্তি, বিনিয়োগে কর ছাড় ইত্যাদি সুবিধা প্রদান, প্রবাসীদের জন্য আলাদা সঞ্চয়পত্র চালু করা, যাতে সুদের হার বেশি থাকে এবং জাতীয় বাজেটে রেমিট্যান্স ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।