মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদ- পাওয়া প্রয়াত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা সাক্ষ্য’ দিতে বাধ্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে এই অভিযোগ দেন জামায়াতে ইসলামীর প্রয়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সে সময় সাক্ষ্য দেওয়া কয়েক ব্যক্তি। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগকারীর মধ্যে আছেন সেই মামলার সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহাবুবুল হাওলাদার, আলতাফ হাওলাদার ও মাহাতাব উদ্দিন হাওলাদার। তারা সবাই পিরোজপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ দেওয়ার সময় তাদের সঙ্গে এসেছিলেন আরেক সাক্ষী মধুসূদন ঘরামীর আত্মীয় সুমন্ত মিস্ত্রি।
অভিযোগ দাখিলের পর আইনজীবী পারভেজ সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৯ সালে মাহবুবুলকে ডেকে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন এমপি আউয়াল। রাজি না হওয়ায় তাকে তৎকালীন পিপি কার্যালয়ে তুলে নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরপর নির্যাতনের একপর্যায়ে তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সাঈদীর নামে মিথ্যা মামলা দিতে বাধ্য করেন। পরে ট্রাইব্যুনালেও এ মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হয় মাহবুবুলকে। তখন তাকে যাত্রাবাড়ী থানার অধীনে কথিত সেফ হোমে নিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়। অভিযোগকারী বাকি দুই সাক্ষীরও একইভাবে জবানবন্দি নেয় তৎকালীন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম। এর আগে ২১ আগস্ট সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে গুমসহ নির্যাতনের দায়ে শেখ হাসিনাসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি।