বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শাহীনুর ইসলাম শানু

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৫:৩০ এএম

হাসিনার লকারের সন্ধানে সিআইসি, আজ অভিযান

শাহীনুর ইসলাম শানু

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ০৫:৩০ এএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লকারের খোঁজে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)। দেশের তপশিলি একটি ব্যাংকে তার লকার রয়েছে। অনুসন্ধানে পাওয়া সেই লকারে আজ বুধবার সকালে অভিযান পরিচালনা করবেন রাজস্ব বোর্ডের গোয়েন্দা সেলের কর্মকর্তারা।

এনবিআরের সিআইসি শাখার বিশেষ একটি সূত্র গতকাল জানিয়েছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে জানতে দেশের ৬৫টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে সম্প্রতি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে ব্যাংকে অনুমোদিত লকার এবং সম্পদের তথ্য জানতে চাওয়া হলে চিঠির আলোকে ব্যাংকগুলো তাদের তথ্য এনবিআরকে জানিয়েছে।’

এনবিআরের সিআইসি শাখা আরও জানায়, ‘চিঠির আলোকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) তপশিলি একটি ব্যাংকে বুধবার (আজ) অভিযান পরিচালনা করবে। অনুমান করা হচ্ছে- ব্যাংকের লকারে রাখা গোপন তথ্য সম্বলিত ফাইল, মূল্যবান দলিল এবং অলঙ্কার, ধাতব সম্পদ থাকতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন মালামাল লুকিয়ে রাখা হয়েছে।’

লকারের সম্পর্কে জানতে চাইলে এনবিআরের সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব গণমাধ্যম কর্মীদের এড়িয়ে চলেন এবং কোনো মন্তব্য করতেও রাজি হননি। তবে ঢাকার আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবনের একাধিক কর্মকর্তা একই বিষয়ে তথ্য নিশ্চিত করেন।

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাচার হওয়া অর্থসম্পদ ফেরাতে দেশে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক, দর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও এনবিআর। পৃথিবীর প্রধানত পাঁচটি দেশে পাচার হওয়া ‘প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান’ পেয়েছে বলে সম্প্রতি জানিয়েছে সিআইসি। বিশ্বের পাঁচটি দেশের সাতটি শহরে অর্থ পাচারে জড়িত রয়েছে ৫২ ব্যক্তি ও ৩৫৬টি প্রতিষ্ঠান। তাদের শাস্তি ঘোষণার আগে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে দেশান্তরি হওয়া শেখ হাসিনার লকার আজ উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারসহ ১১টি শিল্প গ্রুপের মালিক পাচারের সঙ্গে জড়িত। পাচারের টাকায় বিদেশে গড়ে তোলা বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক তারা। পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিল্প গ্রুপগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিদেশি ব্যবসায়ী আদনান ইমামের আইপিই গ্রুপ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর আরামিট গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, সিকদার গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, জেমকন গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ, সামিট গ্রুপ প্রভৃতি। পাচারের শীর্ষে থাকা ব্যাংক লুটসহ ৫২ জনের নাম দুর্নীতির তালিকায় এসেছে।

পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে কাজ করছে আন্তর্জাতিক চারটি প্রভাবশালী সংস্থা। সেগুলো হলো- দ্য স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি (এসটিএআর), ইন্টারন্যাশনাল এন্টি করাপশন কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (আইএসিসিসি), যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাসেট রিকভারি (আইসিএআর)। অর্থ উদ্ধারে সম্পৃক্ত বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নগদ কোনো অর্থ দেওয়া হবে না। তবে উদ্ধার করা অর্থ থেকে কমিশন দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

‘৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান’ সম্পর্কে সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানের উপস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার সামনে পাচারের তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

আহসান হাবিব বলেন, ‘দেশে বসেই বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষে সিআইসির গোয়েন্দারা দেশগুলোতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিস্তারিত তথ্য তুলে নিয়ে আসেন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে অর্থ পাচার করে গড়ে তোলা ৩৪৬টি সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে। এটি আমাদের অনুসন্ধানের আংশিক চিত্র।’

সিআইসির মহাপরিচালক হিসেবে তিনি বলেন, ‘এসব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বাংলাদেশের অনুকূলে নিয়ে আসতে এবং অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সাজা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সিআইসি’।

আজ শেখ হাসিনার লকার উন্মোচনের মাধ্যমে নতুন তথ্য উপস্থাপন করতে যাচ্ছে সিআইসি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!