সীমাহীন অব্যবস্থাপনা-বিশৃঙ্খলা, দীর্ঘ প্রতিক্ষা আর নানা নাটকীয়তা শেষে ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা পর ঘোষণা করা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদের ফলাফল। ফলাফলে ডাকসুর প্রতিচ্ছবি ছিল জাকুসতেও।
জাকসুর ২৫ পদের মধ্যে ২০টিতে ছাত্রশিবির নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। বাকি পাঁচটির মধ্যে ভিসিসহ তিনটিতে স্বতন্ত্র ও দুটিতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) প্রার্থী জয়ের দেখা পেয়েছেন। ডাকসুর মতো ভরাডুবি হয়েছে ভোট বর্জন করা ছাত্রদলের। কেন্দ্রীয় সংসদে কোনো পদেই জয়ের দেখা পায়নি তারা। জাকসুর দশম আসরে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু। আর শিবিরের প্যানেল থেকে মাজহারুল ইসলাম জিএস, ফেরদৌস আল হাসান ও আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা এজিএস নির্বাচিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদের পাশাপাশি হল সংসদেও জয়জয়কার শিবিরের।
গতকাল শনিবার বিকেলে ৫টা ১৫ মিনিটে জাকসুর চূড়ান্ত ফল ঘোষণা শুরু হয়। ফল ঘোষণা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম। ফলাফল ঘোষণার শুরুতেই জাকসুর নির্বাচনি দায়িত্ব পালনকালে মৃত্যুবরণ করা বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও নির্বাচনের পোলিং এজেন্ট জান্নাতুল ফেরদৌসের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ফল ঘোষণার সময় তিনি বলেন, জাকসু নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি, অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু অনিয়ম থাকতে পারে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে একযোগে শুরু হয় জাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ। বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত। যদিও এসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ দেরিতে শুরু হয়েছিল। এ ছাড়া নির্বাচনে অব্যবস্থপনা-বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম, কারচুপি আর নাটকীয়তার অভিযোগ ছিল। এসব অভিযোগ এনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই ছাত্রদল ও বাম প্রগতিশীলদের চারটি প্যানেল ভোট বর্জন করে। নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্য ও নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করা তিন শিক্ষকও দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনাও ছিল ব্যাপক অব্যবস্থাপনা।
আট ঘণ্টার ভোটের ফলাফল প্রকাশে সময় লাগে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা। ভোট গণনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, মূল জটিলতা তৈরি হয় ভোট গণনার পদ্ধতি বদলানোর কারণে। অভিযোগ ওঠে, জামায়াত-সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে কেনা ওএমআর মেশিন ব্যবহার করা যাবে না। শেষ পর্যন্ত মেশিনের বদলে হাতে ব্যালট গোনার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এতে ভোট গণনায় দেরি হয়।
কেন্দ্রীয় সংসদে শিবিরের জয়জয়কার
১৯৭২ সালে শুরু হওয়া জাকসু নির্বাচনের পর এবারের নির্বাচন ছিল দশম আয়োজন। জাকসুতে এবার ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন, যার মধ্যে প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়েন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে আটজন প্রার্থী ছিলেন।
ভোটগ্রহণের দুই দিনের মাথায় এসে ঘোষিত এই ফলাফলে দেখা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ ৩ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়ে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন। জিতু একসময় ছাত্রলীগ করলেও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করে জাহাঙ্গীরনগরে আন্দোলনের হাল ধরেন। তিনি তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
মূলত জুলাই আন্দোলন থেকে তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে জাবি ক্যাম্পাসে। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জিতু কোনো দলে যোগদান না করে গঠন করেন গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন। সংগঠনটির আহ্বায়ক তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ছাত্রশিবিরের আরিফুল্লাহ আদিব ২ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়েছেন। আর ৩ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মাজহারুল ইসলাম জিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাগছাসের প্রার্থী আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম পেয়েছেন ১ হাজার ২৩৮ ভোট।
অন্যদিকে ভোট বর্জনকারী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান পেয়েছেন ৬৪৮ ভোট এবং জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী পেয়েছেন ৯৪১ ভোট।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের (এজিএস) দুটি পদেই ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রার্থী ফেরদৌস আল হাসান ২ হাজার ৩৫৮ ভোট এবং আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা ৩ হাজার ৪০২ ভোটে জয় পেয়েছেন। অন্যান্য পদে যারা জয় পেয়েছেন, তারা হলেনÑ শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আবু ওবায়দা ওসামা (শিবির প্যানেল), পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মো. শাফায়েত মীর (শিবির প্যানেল), সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (শিবির প্যানেল), সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র), সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক রায়হান উদ্দীন (শিবির প্যানেল), নাট্য সম্পাদক রুহুল ইসলাম (শিবির প্যানেল), ক্রীড়া সম্পাদক মাহমুদুল হাসান কিরণ (স্বতন্ত্র), সহক্রীড়া সম্পাদক (নারী) ফারহানা আক্তার লুবনা (শিবির প্যানেল), সহক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) মাহাদী হাসান (শিবির প্যানেল), তথ্যপ্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম লিখন (শিবির প্যানেল), সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক আহসাব লাবিব (বাগছাস), সহসমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক (নারী) নিগার সুলতানা (শিবির প্যানেল), সহসমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ) তৌহিদ হাসান (শিবির প্যানেল), স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক সম্পাদক হুসনী মোবারক (শিবির প্যানেল), পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক তানভীর রহমান (শিবির প্যানেল)। কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন তরিকুল ইসলাম (পুরুষ, শিবির প্যানেল), আবু তালহা (পুরুষ, শিবির প্যানেল), মো. মহসিন (পুরুষ, শিবির প্যানেল), নাবিলা বিনতে হারুন (নারী, শিবির প্যানেল), ফাবলিহা জাহান (নারী, শিবির প্যানেল), নুসরাত জাহান ইমা (নারী, শিবির প্যানেল)।
ফলাফল ঘোষণা শেষে নবনির্বাচিত ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার ওপর যে ভরসা রেখেছেন, সেই জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়ার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে সব সময় কাজ করার চেষ্টা করব। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকারের প্রশ্নে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নে কখনো আপস করিনি। আগামীতেও আপস করব না। শিক্ষার্থীদের যেকোনো চাওয়া-পাওয়াকে সবার আগে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাব।’
এ ছাড়া নবনির্বাচিত জিএস মাজহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়, এ বিজয় শুধু আমাদের নয়, এ বিজয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সব শিক্ষার্থীর।’
হল সংসদে জয়ী হলেন যারা
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংসদেও ছাত্রশিবিরের জয়জয়কার হয়েছে। তবে কোন হলে কোন দল সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন, তা তাৎক্ষণিক নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, আল বেরুনী হলে ভিপি পদে রিফাত আহমেদ শাকিল জয়লাভ করেছেন। জিএস পদে বিজয়ী হয়েছেন মুনতাসির বিল্লাহ খান এবং এজিএস পদে সাদমান হাসান খান। নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ভিপি পদে বুবলী আহমেদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। জিএস পদে সুমাইয়া খানম জয় পেয়েছেন।
জাহানারা ইমাম হলে ভিপি পদে মাহমুদা খাতুন আর জিএস পদে রিজওয়ানা বুশরা জয়লাভ করেছেন। এজিএস পদে দুজন সমান ভোট পাওয়ায় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রথম ছয় মাসের জন্য লামিয়া জান্নাত এবং পরের ছয় মাসের জন্য সাদিয়া খাতুন দায়িত্ব পালন করবেন।
১০ নম্বর ছাত্র হলে ভিপি পদে আসিফ মিয়া আর জিএস পদে মেহেদী হাসান বিজয়ী হয়েছেন। এজিএস পদে নাদিম মাহমুদ নির্বাচিত হয়েছেন।
১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ভিপি পদে শারমিন রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। জিএস পদে মেহনাজ মোহনা এবং এজিএস পদে শাহানা আক্তার জয়লাভ করেছেন।
শহীদ সালাম-বরকত হলে ভিপি পদে মারুফ হোসেন জয় পেয়েছেন। জিএস পদে মাসুদ রানা এবং এজিএস পদে আবরার আজিম ভূঁইয়া বিজয়ী হয়েছেন।
বেগম সুফিয়া কামাল হলে ভিপি পদে জান্নাতুল নাঈম জেরিন এবং জিএস পদে রুবিনা জাহান জয়লাভ করেছেন। এজিএস পদে সুমাইয়া আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন।
মওলানা ভাসানী হলে ভিপি পদে আব্দুল হাই স্বপন, জিএস পদে হৃদয় পোদ্দার এবং এজিএস পদে রাকিব হাসান নির্বাচিত হয়েছেন। মীর মশাররফ হোসেন হলে ভিপি পদে খালেদ জুবায়ের শাবাব, জিএস পদে শাহরিয়ার নাজিম হৃদয় ও এজিএস পদে আরাফাত হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন।
বীর প্রতীক তারামন বিবি হলে ভিপি পদে ফারজানা আক্তার ঊর্মি, জিএস পদে প্রিয়াঙ্কা কর্মকার প্রিয়া ও এজিএস পদে লাবণ্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলে ভিপি পদে জি এম এম রায়হান কবির, জিএস পদে আবরার শাহরিয়ার ও এজিএস পদে রিপন মন্ডল নির্বাচিত হয়েছেন।
রোকেয়া হলে ভিপি পদে তাফমিম খানম (তাসনিম খন্দকার), জিএস পদে নাবিলা মাহজাবিন জয়লাভ করেছেন। এজিএস পদে ফাহমিদা আক্তার সাউদা নির্বাচিত হয়েছেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ভিপি পদে রাকিবুল ইসলাম, জিএস পদে আলী আহমেদ এবং এজিএস পদে সামিন ইয়াসির লাবিব নির্বাচিত হয়েছেন। ২১ নম্বর ছাত্র হলে ভিপি পদে ইবনে শিহাব, জিএস পদে অলিউল্লাহ আল মাহাদী এবং এজিএস পদে তুষার আহমেদ শাওন নির্বাচিত হয়েছেন।
রফিক-জব্বার হলে ভিপি পদে মেহেদী হাসান, জিএস পদে শরিফুল ইসলাম জয় বিজয়ী হয়েছেন। তাজউদ্দীন আহমদ হলে ভিপি পদে সিফাত উল্লাহ এবং জিএস পদে মাহমুদুল হাসান সাকিব জয়লাভ করেছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ভিপি পদে অনিক কুমার বণিক এবং জিএস পদে মাহমুদুল হাসান ইমন বিজয়ী হয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া হলে ভিপি পদে ফারহানা রহমান এবং জিএস পদে ফাতেমা তুজ জোহরা জয়লাভ করেছেন। ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ভিপি পদে মাহদাতুন হাসান এবং জিএস পদে মহসিনা তুবা বিজয়ী হয়েছেন।
ফল ঘোষণার আগে আরেক নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ
জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা চলাকালে পদত্যাগ করেন আরেক নির্বাচন কমিশনার ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির আওয়ামীপন্থি বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষক নেত্রীও।
গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানান প্রোভিসি অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ। দুপুর ২টায় স্নিগ্ধা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর আগে গত শুক্রবার ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন-ব্যবস্থা ও ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন নির্বাচন কমিশনার ও বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, নজরুল ইসলাম ও নাহরিন খান।
আজ বন্ধ থাকবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস ও ক্লাস আজ রোববার বন্ধ থাকবে। এদিন পূর্বনির্ধারিত সব পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ বি এম আজিজুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন