বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জুবায়ের আহমেদ, লন্ডন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ১১:০৮ পিএম

বিদেশে সহিংস আওয়ামী লীগ দূতাবাসগুলোর ভূমিকায় ক্ষোভ

জুবায়ের আহমেদ, লন্ডন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫, ১১:০৮ পিএম

বিদেশে সহিংস আওয়ামী লীগ দূতাবাসগুলোর ভূমিকায় ক্ষোভ

লন্ডন-আমেরিকা সফরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপিসহ জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনে ভূমিকা রাখা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। যেখানেই পা রাখছেন সেখানেই আওয়ামী লীগ তাদের বাধা দিচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য নেতাদের এসব সফরের বিস্তারিত তথ্য মুহূর্তেই জেনে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। লন্ডন-আমেরিকায় বাংলাদেশি দূতাবাসগুলো থেকে তথ্যফাঁসের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা। এসব হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দল দূতাবাসগুলোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। 

জানা যায়, গত জুন মাসে লন্ডন সফরে আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস। সে সময় লন্ডনস্থ ডরচেস্টার হোটেলের বাইরে বিক্ষোভ করেন বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মকা- নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেই বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী আব্দুর রহমান, সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সিলেটের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান, আবু জাহির, শফিকুর রহমান চৌধুরী, রঞ্জিত সরকার অংশ নেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন বিভিন্ন ফুটেজে দেখা যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ সফরসঙ্গীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন আওয়ামী সমর্থকরা। ইউনূসের সমর্থনেও সেখানে পাল্টা জমায়েত হয়েছিল। স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির কিছু সংখ্যক লোকের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী এবং কিছু ইসলামি দলের সমর্থকদের সেখানে দেখা যায়।  

গতকাল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়ে নিউইয়র্কে পৌঁছান তিনটি রাজনৈতিক দলের পাঁচজন নেতা। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা। তারা নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দর থেকে বের হতেই সেখানে অঅগে থেকেই অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেন তারা। মির্জা ফখরুলসহ অন্যদের এ সময় জয় বাংলা সেøাগানে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। টার্মিনাল থেকে গাড়িতে উঠলে গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে বাধা দেন আওয়ামী নেতাকর্মীরা। 

পরে পুলিশ এসে আখতার হোসেনকে ডিম ছঁড়ে মারার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে নিউইয়র্ক পুলিশ আটক করেছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন নিউইয়র্কের সাংবাদিক সঞ্জীবন সরকার। তিনি জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তির নাম মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং তিনি বাংলাদেশে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় ‘দূতাবাসের অব্যবস্থাপনা’কে দায়ী করেছে এনসিপি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে পারেননি, তবে তাকে রেখেই অন্যরা সে সময় গাড়িতে চড়ে বসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন দৃশ্য দেখে ক্ষোভ ঝাড়েন বিএনপি সমর্থকরা। তারা বলেন, একজন বয়স্ক মানুষকে এভাবে রেখে পালিয়ে যাওয়া তাদের আহত করেছে। এ সময় সেখানকার বিএনপি দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে সমন্বয় না করায় দূতাবাসকে দায়ী করেন। 

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, আমেরিকায় এমন ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশের সম্পদ লুট করে প্রবাসে আমাদের কৃতী সন্তানদের ওপর হামলা করছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশের বাইরে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আবারও একত্রিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান করছি। আমেরিকা বিএনপির নেতাদের অনুরোধ করছি আমাদের মহাসচিবসহ সব অতিথিকে পর্যাপ্ত খেয়াল রাখার জন্য।’ 

নিউইয়র্ক বিএনপি নেতা শাহজাদ হোসেন বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে আওয়ামী লীগ ড. ইউনূসসহ সফররতদের মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছিল। আমরাও তাদের প্রতিহত করতে এবং আগত অতিথিদের নিরাপত্তা দিতে ব্যাপক কাজ করেছি। এখানের দূতাবাস আগেই আমাদের আশ^স্ত করেছিল, ড. ইউনূসসহ যারা এসেছেন তারা ভিআইপি লাউঞ্জ হয়ে বের হয়ে যাবেন, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করতে হবে না। ৮ নাম্বার টার্মিনালে আওয়ামী লীগ ও আমাদের বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আমরা হাজার হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট না থাকায় ভিআইপি লাইন দিয়ে বের হতে পারেননি আমাদের মহাসচিবসহ অন্যরা। সাধারণ লাইনে ৪ নাম্বার টার্মিনাল দিয়ে বের হতে হয় তাদের। কিন্তু অবাক করা বিষয়, ভেতরে থাকা দূতাবাসের পক্ষ থেকে আমাদের এ বিষয়ে অবগত করা হয়নি। আমরা এ বিষয়ে না জানলেও আওয়ামী লীগের কিছুসংখ্যক নেতাকর্মী কীভাবে জানল, তা বোধগম্য নয়।’ 

বাংলাদেশি আমেরিকান কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন ইনকের সভাপতি সারওয়ার চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এখন সময় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কাছে এ দেশে বাংলাদেশের রাজনীতির নামে এসব নোংরামি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানোর। আমরা যারা বাংলাদেশের এ ধরনের ঘৃণিত রাজনীতির বাইরে আছি, প্রয়োজনে তারা একত্রিত হয়ে এ দাবি জোরালোভাবে তুলে দ্রুত কার্যকর করার জন্য কাজ করতে হবে।’
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!