ঢাকা শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জানালেন ডা. জাহিদ

তারেক রহমান কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফিরবেন

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ০১:২৩ এএম

কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এমনটাই জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের শেষ লগ্নে নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান।’ গতকাল বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শুধু বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, সব মানুষের নেতা জনাব তারেক রহমান। আমি কয়েকদিন আগেও বলেছি, আপনারা দেখতে পাবেন যে, কয়েক সপ্তাহ বলেছিলাম। ইনশাল্লাহ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারেক রহমান এসে বিএনপির নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুধু নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শেষ লগ্ন যেটি, তার নেতৃত্ব দেবেন।’

নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী বিএনপির মহাসচিবসহ রাজনৈতিক নেতাদের যেভাবে হেনস্তা করেছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা, তারও সমালোচনা করেছেন এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই দলের ইতিহাস, এই দলের নেতাদের ইতিহাস কোনো দিনই জনগণের পক্ষে ছিল না। উনারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, উনারা জনগণের ওপরে চেপে বসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা এই দেশটাকে মনে করে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। যেমনি ইচ্ছা, অমনি চালাবে। অন্যায় উনাদের পূর্ব পুরুষরা করেছেন, উনারাও করছেন। তবে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, শেষ বিচারে জনগণ জানে তাদেরকে কীভাবে প্রতিহত করতে হয়, প্রত্যাখ্যান করতে হয়।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, ‘আমি সবসময় বলতাম স্বৈরাচারের দোসর কারা ছিল? ৮৬ সালে দেখেছেন, এখনো দেখছেন। কাজেই আপনাদের সজাগ থাকতে বলব, সংবাদ কর্মীদের, দেশের মানুষকেÑ দেশের মানুষ দেখছে যে, সত্যিকার অর্থে স্বৈরাচারের সঙ্গে কাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। কাজেই এ ব্যাপারে আমাদের আর স্পষ্ট করে বলার দরকার নাই। বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে সোচ্চার ছিল, থাকবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা সারা দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে তারেক রহমানের আহ্বানে ভোটারদের কাছে, জনগণের কাছে ৩১ দফার কর্মসূচি নিয়ে যাচ্ছে, সেই কাজে তারা ব্যস্ত আছে এবং কর্মচাঞ্চল্য চলছে। নির্বাচন সামনে রেখে ১৮ মাস আগে থেকে আমাদের এই কাজ শুরু হয়েছে। আপনারা যেটাকে নির্বাচনি প্রক্রিয়া বলেন, অর্থাৎ মনোনয়ন- আলহামদুলিল্লাহ! বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা যা সিট আছে তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি।’

‘কাজেই কে প্রার্থী হবেন কে হবেন না সেজন্য আমাদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জেলার নেতৃবৃন্দ, আমাদের দলের পক্ষ থেকে জরিপ এবং সর্বোপরি জনগণের ভালোবাসায় যেসব মানুষ নিজ নিজ এলাকা জনপ্রিয়, তাদেরই বিএনপি মনোনয়ন দেবে। আপনি দেখতে পাবেন, খুব সহসাই মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলেও জানান বিএনপির এ নেতা।