প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বিমানবন্দরে হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার রাতে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরের পাশে পোর্ট অথরিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থানায় তিনি এ মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় আখতার এ মামলার কথা জানান। ভিডিও বার্তায় আখতার হোসেন বলেন, ‘এয়ারপোর্টে হামলার পরে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় অনুযায়ী বুধবার সন্ধ্যাবেলা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আবার হোটেলের লবিতে এসেছিল হামলা করার উদ্দেশ্যে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত এনসিপির সদস্যরা এবং আমার শুভাকাক্সক্ষীরা তাদের প্রতিহত করেন এবং পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তিনি আরও জানান, ‘পরবর্তীতে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অফিসার এসে মামলা দায়ের করার জন্য আমাদের পরামর্শ দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমি এয়ারপোর্টের খুব কাছের যে থানা রয়েছে সেখানে গিয়েছি। যারা সেদিন আমাদের ওপর হামলা করেছিল, হত্যাচেষ্টা করেছিল এবং থ্রেট দিয়েছিলÑ তাদের ব্যাপারে আমরা এখানে মামলা দায়ের করেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়ে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে গত সোমবার নিউইয়র্কে গিয়ে বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হেনস্তার শিকার হন বিএনপি ও এনসিপির নেতারা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ঘিরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসবিরোধী স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি তুমুল গালাগাল করেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের গায়ে ডিমও ছোড়া হয়।
এনসিপি নেতা আখতার বলেন, ‘ইউএস পুলিশকে আমরা এই বিষয়টা অবহিত করেছি যে, যারা ওই ঘটনাগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ঘটাচ্ছেন- তারা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ এমন একটি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, যারা গত বছর বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়েছেন।’
ইউএনের যে রিপোর্ট, সে ব্যাপারে আমরা তাদের অবহিত করেছি, আমরা মনে করি যে, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তারা দেশে হোক- দেশের বাইরে যেখানেই হোক, আমরা তাদের ব্যাপারে আইনগতভাবে যে প্রতিকারের ব্যবস্থা- সেটা আমরা গ্রহণ করব এবং আমরা এ কথা বিশ্বাস করি যে, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তারা যত ধরনের অপরাধ করেছেন, সে অপরাধগুলোকে আইনগতভাবেই নিষ্পত্তি করা সম্ভব এবং আওয়ামী লীগ তার সন্ত্রাস নিয়ে বাংলাদেশে আর ফিরে আসার সুযোগ পাবে না।’
