‘নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র উত্তরণ প্রক্রিয়ায় গোটা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত শুক্রবার রাতে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের বার্তা একটাইÑ গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নেব। আজকে গণতন্ত্র উত্তরণের এই বিষয়টাতে গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থনটা এখানে সম্পূর্ণভাবেই রয়েছে।’
গত ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্কে যান মির্জা ফখরুল। প্রধান উপদেষ্টা গত বৃহস্পতিবার দেশে ফিরলেও মির্জা ফখরুল দলীয় একটি অনুষ্ঠান শেষে এক দিন পর দেশে ফেরেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনিম জারা।
জাতিসংঘ অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার আলাপ হয়েছে কি নাÑ এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সবার সঙ্গেই আলাপ হয়েছে। আর যারা গিয়েছেন তাদের সঙ্গে তো অবশ্যই আলাপ হবে, এটাই তো স্বাভাবিক’। সফরকে সফল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে আমরা জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলাম। আমাদের দায়িত্ব যতটুকু ছিল, তা আমরা পালন করেছি। আমি মনে করি, আমাদের এই সফর সফল হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্য প্রদর্শনের জন্য কয়েকটি প্রধান রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেনÑ সেদিক থেকেও সফর অবশ্যই সফল হয়েছে। বাংলাদেশের কথা বিশ্বের কাছে পৌঁছে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি যেসব সভা হয়েছে, আমরা মনে করি- এটা বাংলাদেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ভালো হয়েছে।’ নিউইয়র্কে বিমানবন্দরে অবতরণের পর হেনস্তার ঘটনা নিয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘আমরা এগুলোকে খুব বড় করে দেখি না। এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের একটা কালচারÑ এই ধরনের ঘটনা তৈরি করা।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন