ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

প্রশাসন ও শিক্ষা ক্যাডার মুখোমুখি 

সেলিম আহমেদ
প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৫, ১১:৫৮ পিএম

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ভেঙে মাধ্যমিক ও কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর নামে দুটি আলাদা অধিদপ্তর গঠনে সম্মতি প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূছ। তার সম্মতির পর পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অর্গানোগ্রাম, কার্যতালিকাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব প্রণয়নের জন্য ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, মাধ্যমিক সব সময় থেকে মাউশির অধীনে ছিল। মাধ্যমিক আলাদা হলে পদগুলোতে বসানোর মতো শিক্ষক মাধ্যমিকের নেই। মূলত এই পদগুলোতে আমলারা তাদের লোক বাসানোর জন্য সুপরিকল্পিতভাবে এই নীলনকশা আঁকছেন। 

শুধু তাই নয়, মাউশি মহাপরিচালক হিসেবে গত ২০ জানুয়ারি যোগদান করেন অধ্যাপক ড. আজাদ খান। তার দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় গত ৬ অক্টোবর ডিজি পদে আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরদিনই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান আজাদ খান। নজিরবিহীন এই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ড. আজাদ খানের জন্য ‘অসম্মানজনক ও অবমাননাকর’ দাবি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। শিক্ষা ক্যাডারের লোকজন বলছেন, ডিজিকে সরিয়ে দিয়ে বিজ্ঞাপ্তি দিলে কোনো আপত্তি থাকত না। কিন্তু তিনি দায়িত্বরত অবস্থায় এই বিজ্ঞপ্তি শিক্ষা ক্যাডারের জন্য খুবই লজ্জাজনক। 

এর বাইরে রাজধানীর সাত কলেজ নিয়ে যে প্রক্রিয়ায় ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটাও উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এই প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টি হলে কলেজগুলোর দীর্ঘ ঐতিহ্য যেমন বিলীন হবে, ঠিক তেমনি এসব কলেজের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়বে। এ ছাড়া মাউশিকে দুই ভাগ করা, প্রাথমিকের বই ছাপার কাজ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে দেওয়ার পরিকল্পনা, মাউশির অধিকাংশ কাজ মন্ত্রণালয়ে নিয়ে নেওয়া,  শিক্ষা ক্যাডারের নতুন পদ সৃষ্টি না হওয়া, পদোন্নতি আটকে দেওয়া, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো, সহকারী শিক্ষকদের ন্যূনতম বেতন ১১তম গ্রেডে করতে খামখেয়ালিপনাসহ নানা কারণে শিক্ষকদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ-অসন্তোষ। মূলত এমন নানা বিষয় নিয়ে প্রশাসন ক্যাডার ও শিক্ষা ক্যাডার মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।

শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই ক্ষোভ-অসন্তোষের নেপথ্যে রয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আমলাদের হস্তক্ষেপ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ অনেক জায়গা আমলারা তাদের কব্জায় নিয়ে নিয়েছেন। বাকি জায়গাগুলোও তাদের কব্জায় নিতে অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও পরিকল্পিতভাবে এই জটিলতা তৈরি করছেন। প্রাথমিকের বই ছাপার বিষয়টি এতদিন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও টেক্সটবুক বোর্ড (এনসিটিবি) করলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আমলারা প্রাথমিক শিক্ষা অদিধপ্তরের মাধ্যমে এটি করতে চাইছেন। এনসিটিবি নিজেদের আয়ত্তাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আমলারাও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়টিকে সমর্থন করছেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি। এমনকি সচিবালয়ে তার দপ্তরে গিয়েও দেখা করা সম্ভব হয়নি।

মাউশি ভাগে প্রধান উপদেষ্টার সম্মতি, অর্গানোগ্রাম তৈরিতে ৬ সদস্যের কমিটি : মাউশি ভেঙে নতুন দুটি পৃথক অধিদপ্তর গঠনে প্রধান উপদেষ্টা সম্মতি প্রদানের পর অর্গানোগ্রাম ও কার্যতালিকাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব প্রণয়নের জন্য ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দুটি পৃথক অর্গানোগ্রাম প্রস্তুত-পূর্বক মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া কমিটির কর্মপরিধির মধ্যে রয়েছে রোলস অব বিজনেস, ১৯৯৬ অনুসরণ-পূর্বক গঠিতব্য অধিদপ্তরসমূহের কার্যতালিকা প্রণয়ন; নবগঠিত দুটি অধিদপ্তরের সাংগঠনিক কাঠামো প্রস্তুত; নবগঠিত দুটি অধিদপ্তরের কর্মবণ্টন প্রস্তুত; টিওঅ্যান্ডই নির্ধারণ। মাউশি দুই ভাগের লক্ষ্যে ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (সর:মাধ্য:অধি:) আর সদস্যসচিব করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব/সিনিয়র সহকারী সচিব (সরকারি মাধ্যমিক-১)। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেনÑ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি কলেজ-১), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা/বাস্তবায়ন অনুবিভাগের প্রতিনিধি (উপসচিব পদমর্যাদার নিচে নয়), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাধারণ প্রশাসন) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (বাজেট)।

এদিকে এ বিষয়ে জানতে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষরকারী মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সিফাত উদ্দিনকে একাধিক ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। তবে সরকারি মাধ্যমিক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার বিষয়টি জানেন না বলে জানান। 

এর আগে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তর ভেঙে দুই ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবর্তে আলাদা দুটি অধিদপ্তর-মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও কলেজ শিক্ষা অধিদপ্তর করার সুপারিশ এসেছে। 

মাউশি ঠুঁটো জগন্নাথ, সব কাজ মন্ত্রণালয়ে :

দীর্ঘদিন প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদে বদলি করতে পারতেন মাউশি মহাপরিচালক। সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে বদলি করত শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু অনলাইন বদলির নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, এখন সব ধরনের বদলি ও পদায়ন করবে মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষকদের বদলির কাজও এখন মন্ত্রণালয়ের হাতে। এর বাইরে একসময় এমপিওভুক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও পাঠদানের অনুমতি মাউশি থেকে দেওয়া হতো। সেই কাজগুলোও এখন করছে মন্ত্রণালয়। ফলে ফাইল চালাচালি ছাড়া এখন কোনো কাজ মাউশি থেকে হয় না। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সমিতির নেতারা বলছেন, মাউশি এখন শুধু পোস্ট অফিসের দায়িত্ব পালন করছে। চিঠি চালাচালি ছাড়া কোনো কাজ হচ্ছে না। তারা বলছে, মন্ত্রণালয়ের কাজ নীতিনির্ধারণ করা, তা বাস্তবায়ন করবে অধিদপ্তরগুলো। কিন্তু শিক্ষার ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। সব কাজই মন্ত্রণালয় করতে চায়। সব জায়গায় যখন বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে, সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করছে। এতে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারদের ক্ষোভ বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন প্রক্রিয়া নিয়েও অস্থিরতা :

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি নামে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করতে চায় সরকার। ইতিমধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের রূপরেখাও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কলেজগুলোর শিক্ষক ও অধিকাংশ শিক্ষার্থী। তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে সাত কলেজকে অধিভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। গতকাল ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন এবং শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ‘হাইব্রিড কাঠামো’ বা কোনো অপ্রচলিত শিক্ষাকাঠামোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপকরণে পরিণত করা যাবে না। যেকোনো মূল্যে দেশের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ ঢাকা কলেজের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র্য সংরক্ষণ করতে হবে। এ নিয়ে ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররা সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছেন।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসেসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানায়, ঐতিহ্যবাহী সাত কলেজের বিদ্যমান প্রশাসনিক ও আর্থিক কাঠামোতে কোনো পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়। হঠাৎ করে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা বা প্রশাসনিক কাঠামো পরিবর্তন করা জাতীয় স্বার্থ ও ঐতিহ্যের পরিপন্থি।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল বলেন, সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করা জরুরি।

সরকারি বই ছাপতে চায় ডিপিই :

শুরু থেকেই বিনা মূল্যে সরকারি পাঠ্যবই ছাপার কাজ করে আসছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। তবে গত কয়েক বছর ধরে এনসিটিবির পরিবর্তে প্রাথমিকের বই ছাপতে আগ্রহী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। ইতিমেধ্য ডিপিইর মাধ্যমে মুদ্রণ ও বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এনসিটিবি আইনের খসড়া প্রণয়ন করে সে বিষয়ে মতামত চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

এনসিটিবির পরিবর্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে মুদ্রণ ও বিতরণের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে সমস্যার সমাধান হবে না বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল এক বিবৃতিতে টিআইবি বলেছে, এনসিটিবির সুশাসনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায় অনুসন্ধানের পরিবর্তে ‘মাথাব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলা’র মতো প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, প্রকাশনা ও বিতরণের দায়িত্ব অধিদপ্তরের ওপর ন্যস্ত করার মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এটি এনসিটিবিকে কেবল দুর্বলই করবে, লক্ষ্য অর্জনে গুণগত কোনো পরিবর্তন আনবে না। বরং এক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর হবে মাত্র।

সার্বিক বিষয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার মর্যাদা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, মাধ্যমিক অধিদপ্তর পরিচালনার জন্য মাধ্যমিকে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কোনো কর্মকর্তা নেই। তাই প্রশাসন ক্যাডার এই পদগুলো নিতে মাউশিকে কৌশলে ভাগ করতে চাইছে। তারা শুধু মাউশি ভাগ নয়, এনসিটিকে দুই ভাগ করে প্রাইমারিকে আলাদা করে দিচ্ছে। আবার কেন্দ্রীয় সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি মারাত্মক ভুল পক্রিয়ায় হচ্ছে। মূলত শিক্ষাকে প্রশাসন ক্যাডারের কব্জায় নিতে এসব নীলনকশা করা হচ্ছে।