ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনকারীরা রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল তিনটায় পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি জাতীয় জাদুঘরের সামনে শুরু হলেও পরে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। অবরোধের কারণে এ মোড়ের সব দিক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
কর্মসূচি সামনে রেখে গতকাল দুপুরের পর থেকেই শাহবাগে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল আসতে থাকে। সেতু ছাড়াও আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছেÑভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, গ্যাসভিত্তিক শিল্পায়ন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং নদীভাঙন রোধে টেকসই বেড়িবাঁধ ও মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ করা।
আন্দোলনের সমন্বয়কারী আতিক ইয়াসির আকিল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান করব। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।’ শাহবাগে আন্দোলনে আসা ভোলার গণমাধ্যমকর্মী আদিল হোসেন বলেন, ‘ভোলার সঙ্গে সড়কপথে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ না থাকায় জেলার প্রাকৃতিক গ্যাস দেশের অর্থনীতিতে খুব বেশি অবদান রাখতে পারছে না। ভোলা বর্তমানে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন, সেতু হলে এটি কেটে যাবে।’
আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের প্রধান দাবি ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ। ভোলার প্রতিটা মানুষ এই দাবিকে সমর্থন করে। যাতায়াতব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য এই সেতু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই দাবির সঙ্গে পুরো ভোলাবাসীর সমর্থন রয়েছে। যে কারণে আমরা দাবি আদায়ের রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হয়েছি। আশা করব, সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়ে খুব দ্রুত ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
তারা বলেন, আমরা কয়েক দিন যাবত সেতু নির্মাণসহ পাঁচ দফা দাবিতে শাহবাগে কর্মসূচি পালন করছি। আমরা আমাদের দাবির বাস্তবায়ন চাই। ভোলা-বরিশাল সেতু চালু হলে দুই দিকের মানুষের সংযোগ স্থাপন হবে, মানুষ খুবই উপকৃত হবে। তাই আমরা চাই সরকার আমাদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে প্রত্যাশার এই সেতু নির্মাণ করে দিক।

